ডেস্ক রিপোর্ট
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আফছার উদ্দিন আহমদ খান (৮১) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয়। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
বিষয়টি গিণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে প্রবীণ এই আইনজীবীর জানাজা হয়। তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা জানাজায় অংশ নেন।
অ্যাডভোকেট আফছার উদ্দিন আহমদ খানের জানাজায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সম্পাদকসহ অন্যরা অংশ নেন। এসময় মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সবার প্রতি গভীরভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি।
আফছার উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলায়। সেখানেই নিজ বাড়ি সংলগ্ন দরদরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তার পরে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছোট ভাই আফছার উদ্দিন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মনোনীত হয়েছিলেন। পরে ১৯৯৭ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন আফছার উদ্দিন। এছাড়া তিনি গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন।
মরহুমের বিদেহী আত্মার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আফছার উদ্দিনের মৃত্যুতে ঢাকার নিম্ন আদালতের কার্যক্রম দুপুর পর্যন্ত মুলতবি ছিল বলেও জানান এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আফছার উদ্দিন আহমদ খানের মৃত্যুতে বুধবার ঢাকার নিম্ন আদালতের কার্যক্রম দুপুর পর্যন্ত মুলতবি ছিল।
আমিন উদ্দিন মানিক আরও বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেন ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. হযরত আলী আদালতের কার্যক্রম দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতবি রাখতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ, মুখ্য বিচারিক হাকিম ও মুখ্য মহানগর হাকিমের কাছে আবেদন করেছিলেন। সে আবেদনেই আদালতের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।
Discussion about this post