অফিস ডেস্ক
নিবন্ধন অধিদপ্তরের অধীন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে কাগজের ভলিউমে দলিল রেজিস্ট্রির পরিবর্তে অনলাইনে দলিল রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড সংরক্ষণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশনায় ‘ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প’ শিরোনামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এর আওতায় প্রাথমিকভাবে সারা দেশের ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জমির মালিকানা, খতিয়ান, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি অনলাইনে অটোমেটিক যাচাই হবে এবং বায়োমেট্রিক টিপ গ্রহণ করে দলিল অনলাইনে রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড সংরক্ষণ করা যাবে।

ফলে সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে শৃঙ্খলা আসবে ও জাল জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এতে রেজিস্ট্রি সেবা গ্রহণে মানুষের হয়রানি, সময় ও খরচ এবং আদালতে জমি-জমাসংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমা কমে যাবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৭ মে বিকালে রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তরে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে নিবন্ধন অধিদপ্তরের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহা-পরিদর্শক ও প্রকল্প পরিচালক শহীদুল আলম ঝিনুক এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান লজিকফোরাম লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তারিকুল হক (অব.) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও যুগ্ম সচিব এএইচএম হাবিবুর রহমানসহ নিবন্ধন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দলিল রেজিস্ট্রির পরিবর্তে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বা ই-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি প্রচলনের উপযোগিতা যাচাইকরণ। ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের প্রকৃতি যাচাইকরণ। ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য হার্ডওয়্যারের প্রকৃতি যাচাই ও পরিমাণ নির্ধারণ করা।
হাতে লেখা এলটি নোটিশের পরিবর্তে ই-এলটি নোটিশ জারির পরীক্ষামূলক সফটওয়্যার উন্নয়ন, হাতে লেখা বালাম বইয়ের পরিবর্তে ডিজিটাল বালাম প্রচলনের সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ। ডিজিটাল সূচিকরণ বা ই-ইন্ডেক্সিং পরীক্ষামূলক চালুকরণ ও বিদ্যমান ম্যানুয়াল দলিলসমূহ ডিজিটাল করার সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা।
এ প্রসঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রার হেনায়েত উদ্দিন বলেন, অনলাইনে দলিল রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড সংরক্ষণের প্রকল্প নেওয়া একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সম্পত্তির ক্রয়-বিক্রয়ে শৃঙ্খলা আসবে ও জাল-জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
Discussion about this post