বিডিলনিউজঃ

সাভারে চোর সন্দেহে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে সাভার পৌর এলাকার তালবাগ মহল্লার বায়তুন নাজাত তালবাগ কবরস্থান জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে নিহত ওই যুবকের নাম বাবুল হোসেন এবং গ্রামের বাড়ির মানিকগঞ্জ জেলার ঘিউর থানার উত্তরপাড়া গ্রামে বলে জানা গেছে। মসজিদ কমিটি ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে লোকজন চলে গেলে ওই যুবককে আটক করে মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. মোমিন। এসময় তার ডাকে মসজিদটিতে নির্মান কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার মো. নুরুজ্জামান ও তার সহকারীরা এগিয়ে আসে। একপর্যায়ে স্থানীয় জনতাও সেখানে ভিড় জমায়। পরে আটক যুবককে মসজিদের সামনে একটি গাছের সাথে কাপড় দিয়ে বেঁধে গণধোলাই দেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে গণধোলাইয়ের শিকার হওয়া যুবকটি একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ে। এসময় একটি রিকশাযোগে মসজিদের মোয়াজ্জিন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাকে সাভার থানায় পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু থানায় যাওয়ার পথে যুবকটির কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে মৃত ভেবে রিকশাওয়ালা ভয়ে তাকে সাভার থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের রাস্তায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মসজিদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. নুরুজ্জামান বলেন, ফজরের নামাজ শেষে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ মোয়াজ্জিন হুজুর চোর চোর বলে চিৎকার করে। এসময় আমাদের লোকজন এগিয়ে এসে ওই যুবকটিকে আটক করে। পড়ে উপস্থিত লোকজন তাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই দিলে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, যুবকটিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে যদি কোন কিছু চুরি করে থাকে তবে তাকে পুলিশে দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিজেরা আইন হাতে তুলে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে গণধোলাই দেয়ায় যুবকটির মৃত্যু হয়েছে।
Discussion about this post