বিডি ল নিউজঃ
সাভারে বোন ও ভগ্নিপতিকে বেঁধে রেখে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ওই দৃশ্যের ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌর এলাকার আনন্দপুর মহল্লার সরদার ভিলায় শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটি (১৩) স্থানীয় একটি স্কুলের ছাত্রী। মেয়েটির স্বজনরা জানান, ধারণ করা দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় এলাকায় একটি সালিশ বৈঠকও হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ দুর্বৃত্তদের সঙ্গে যোগসাজস করে উল্টো নির্যাতিতার পরিবারকে এলাকা ছাড়তে বলছে। তাই তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্থানীয়রা জানান, একটি ভাড়া বাড়িতে এক ওষুধ ব্যবসায়ী তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে (নির্যাতিতা) নিয়ে থাকেন। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকার জ্বালানি কাঠ ব্যবসায়ী আনুর জামাতা কবির হোসেন ও আরেক যুবক আজিজ ওরফে সেলুন আজিজ ওই বাসায় গিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীকে বেঁধে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে। ধারণ করা দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা মেয়েটির ভগ্নিপতির কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। বিকালে ধর্ষক কবির ও আজিজ ওরফে সেলুন আজিজ ওই বাসায় গিয়ে কিছু টাকা নিয়ে আসে। নির্যাতিতা মেয়েটির বোন সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যায় সাদা পোশাকে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাশেম আলী ওই বাড়িতে যান। তিনি ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে ধর্ষিতার পরিবারকে এলাকা ছাড়ার পরামর্শ দেন। এসআই হাশেম বাসার বাইরে রাস্তায় দাঁড়ানো সেলুন আজিজের সঙ্গে কথা বলে চলে যান। এসআই হাসেম আলী তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তাদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি, কিন্তু তারা অভিযোগ দেয়নি। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তিনি স্পটে এসআই হাসেম আলীকে পাঠিয়েছিলেন। কেউ অভিযোগ না দেয়ায় এখনোও মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post