
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকারের চিত্র ধীরে ধীরে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তথাপি কিছু লিপসু ব্যক্তির স্বার্থ চরিতার্থ করার মানসে দেশে জরুরি আইন জারি করে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সংবিধানের গতিধারাকে চরমভাবে ব্যাহত করেছে। দেশত্ববোধ ও ভ্রাতিত্ববোধ অবজ্ঞা করার ফলে মানবাধিকার চরমভাবে লুণ্ঠিত হচ্ছে। এসব সমস্যা বিশ্ব বিবেককে কুলষিত করেছে।’
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জাতীয় সন্মেলনে প্রধান বিচারপতির লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এদেশের নাগরিকদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। শিক্ষা অবমূল্যায়ন, দুর্নীতি, সামাজিক অবক্ষয় এমন চরম অবস্থা ধারণ করেছে যে, সৎ নাগরিক, কল্যাণকামী ও চিন্তাবিদরা দিধান্বিত হয়েছেন। তথাপি এদেশের মহানুভবতা, উদারতা, সমাজসেবী, সৎ রাজনীতিবিদের এগিয়ে যেতে হবে। এই দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে- রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী ও পেশাজীবীদের বাংলাদেশের মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষন ও বাস্তবায়নে জনমত সৃষ্টির প্রয়াসে ঐক্যমত হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার সংরক্ষন ও বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগকারীর সংস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। তারা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে মানবাধিকার সংরক্ষন ও বাস্তাবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জাতীয় সন্মেলনে সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এই লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান।




Discussion about this post