সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ব্যাপারে প্রশাসনকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
তিনি বলেছেন, ‘কিছু সাম্প্রদায়িক মানুষ এই সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে। তাদের দমন করতে না পারলে এ রকম দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এ জন্য প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মতো ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। গাইবান্ধায় সাঁওতালদের ওপর হামলা হয়েছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা অত্যন্ত গরিব। প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটু সচেতন হলে এ ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।’
শনিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর নারিন্দায় শ্রীশ্রী মাধব গৌড়ীয় মঠের ভক্তি বিলাস তীর্থ ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্মীয় উপাসনালয়ে যাতে কোনো আঘাত না আসে, প্রধান বিচারপতি সে জন্য মেয়রদের খেয়াল রাখার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় আছেন, আমি তাদেরও বলছি, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ধর্ম পালনে যেন বাধার শিকার না হয়।’
ঢাকা শহরের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে বিচার বিভাগের সহযোগিতা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যারা সিটি করপোরেশনের জমি দখল করে রেখেছে, সেগুলোসহ রাস্তাঘাট উচ্ছেদে যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা আসে, তাহলে আপনাদের (দুই মেয়র) জন্য বিচার বিভাগ হাত প্রসারিত করবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৌড়ীয় মঠের সভাপতি গিরিধারী লাল মোদি।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘এসব সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, ইসকন মন্দিরের সভাপতি সত্যরঞ্জন বাড়ৈ, মঠের সাধারণ সম্পাদক উৎপল কুমার রায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী প্রমুখ।




Discussion about this post