নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাকে রিপ্লেস বা বদলির দাবি জানালেন গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘সিইসির ওপর প্রথম থেকেই আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম না। তার পরিবর্তে একজন বিশ্বাসযোগ্য লোককে আনতে হবে। উনি বয়স্ক লোক, সিনিয়র অফিসার ছিলেন। আমি উনাকে আবারও বলছি, এখনো সময় আছে, এতদিন যা করেছেন করেছেন, এখন থেকে পরিবর্তন হন। তা না হলে তার রিপ্লেস করা হোক।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি তিনি (সিইসি) বলেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার নির্দেশেই কাজ করছে। তাহলে নিশ্চয়ই তার নির্দেশেই নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমি জানতে চাই, এমনটা তিনি কেন করছেন?’
আমরা উনার রিমুভ (সরিয়ে দেয়া) চাইনা। উনার রিপ্লেস (বদলি) চাই।’
এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যোগ দিয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) আ ম ছা আমিন এবং একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম। তবে মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ) ও সাবেক বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের গণফোরামে যোগদানের কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
এ কে খন্দকার কেন যোগ দিলেন না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘আপনাদের কাছে তথ্য আছে, আমার কাছে নেই।’
প্রসঙ্গত, গণফোরামে যোগ দেয়া একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালামের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে পুলিশ বিদ্রোহের অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ ও পর্নোগ্রাফি মামলা এবং ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা রয়েছে।
অপরদিকে, মেজর জেনারেল (অব.) আমছা আমিন কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ২০০১ সালে নির্বাচন করে পরাজিত হন। তিনি জেলা পরিষদের প্রশাসকেরও দায়িত্বপালন করেন। আসন্ন নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়ন অনিশ্চিত দেখে তিনি শনিবার দুপুরে ঢাকায় গণফোরামে যোগদান করেই দলের মনোনয়ন ফরম কেনেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ওই আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হচ্ছেন।
গত ১৮ নভেম্বর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে আনুষ্ঠানিকভাবে গণফোরামে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। পরের দিন, ১৯ নভেম্বর গণফোরামে যোগ দেন অবসরপ্রাপ্ত ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তারা হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার ফরিদুল আকবর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শেখ আকরাম আলী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. শহিদুল্লাহ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আ ফ ম নুরুদ্দিন, মেজর (অব.) মাসুদুল হাসান, মেজর (অব.) মো. ইমরান, মেজর (অব.) বদরুল আলম সিদ্দিকী, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) ফোরকান আলম খান, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) মো. হাবিব উল্লাহ, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) মো. মাহমুদ।




Discussion about this post