তামাকপণ্যের প্যাকেট ও কৌটার উপরিভাগে অন্যূন ৫০ শতাংশজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সম্পর্কিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন আদালত। গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং আতাউর রহমান খান এক রায়ে গণবিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত করেন।
এর ফলে আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে গণবিজ্ঞপ্তিটি কার্যকরের কথা থাকলেও তা আর হচ্ছে না। প্যাকেটের নিম্নভাগে বর্তমানে যেমন সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী চিত্রিত আছে ঠিক তেমনই থাকল।
এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দাখিল করে সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ)।
পিটিশনে বলা হয়, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুযায়ী সচিত্র সতর্কবাণী এমনভাবে ছাপাতে হবে যেন তা স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল কিংবা অন্য কোনো কারণে ঢাকা না পড়ে। কিন্তু মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইনে স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল প্যাকেটের উপরি ভাগে যেভাবে লাগাতে বলা হয়েছে তাতে করে ছবি ঢাকা পড়ে যায়। ফলে প্যাকেটের উপরি ভাগে অন্যূন ৫০ শতাংশ স্থানজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে তা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০১৫-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে। এসব বিষয় আমলে নিয়ে হাইকোর্ট গণবিজ্ঞপ্তিটি স্থগিত করেন।
ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ-সংক্রান্ত এক সভার আয়োজন করে। সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিসিএমএ, আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভার গৃহীত সিদ্ধান্ত চিঠির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেয় এনবিআর।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় গড়িমসির পর গত বছরের ১৯ মার্চ সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীসহ তামাকজাত দ্রব্য বাজারজাতকরণ শুরু হয় বাংলাদেশে। সিগারেট কোম্পানিগুলো প্যাকেটের নিম্নভাগে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ছাপলেও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যে ছাপার এ হার নগণ্য।
Discussion about this post