প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে মোবাইল সিম ও রিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধন কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। লাইন ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ মোবাইল সংযোগ নিবন্ধন করে নিচ্ছেন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১৯ এপ্রিল বায়োমেট্রিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এরপর থেকেই ছয়টি অপারেটর সিম-রিম নিবন্ধন শুরু করে।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও মোবাইল সিমটি সঙ্গে এনে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পুনঃনিবন্ধন করতে পারবেন গ্রাহকরা।
সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের নিচে বুথ বসিয়ে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক ও সিটিসেলের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধন করা হচ্ছে।
আর ৪ নম্বর ভবনের সামনে বুথ বসিয়ে বায়োমেট্রিক কার্যক্রম চালাচ্ছে বাংলালিংক।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকাল নয়টার পর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন অপারেটরের গ্রাহকদের সিম পুনঃনিবন্ধন করতে দেখা যায়। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুনঃনিবন্ধন করছেন। বিশেষ করে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ভিড় বেশি।
অপারেটরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিন বুধবার (২০ এপ্রিল) গ্রামীণফোনের ১০৭টি, রবি’র ৯০টি, টেলিটকের ৯০টি, এয়ারটেলের ৫৫টিও সিটিসেলের ২৫টি সংযোগ পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে।
বাংলালিংক বৃহস্পতিবার থেকে কার্যক্রম শুরু করলেও লাইন ধরে গ্রাহকরা পুনঃনিবন্ধন করছেন।
টেলিটকের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে এখানে এসে পুনঃনিবন্ধন করছেন। আবার কর্মকর্তাদের জন্য ফরম নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, কর্মচারীরা লাইনে দাঁড়ালেও মন্ত্রী কিংবা কর্মকর্তাদের দফতরে গিয়ে সিম পুনঃনিবন্ধন করিয়ে নেওয়া হবে।
সিম-রিম পুনঃনিবন্ধনের শেষ দিন ৩০ এপ্রিলের আগে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সচিবালয়ে এই কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন অপারেটরের প্রতিনিধিরা।
মোবাইলের মাধ্যমে হয়রানি, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ ভিওআইপি রোধে সিমের মালিকানা নিশ্চিত করতে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু করে সরকার।
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলছেন, ৩০ এপ্রিলের পর অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করে বার্তা পাঠানো হবে, এরপরও পুনঃনিবন্ধন না করলে এক সময় সেই সিমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।




Discussion about this post