সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহপ্রচার সম্পাদক ফয়জুর রহমান রাজুর খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পুনর্নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। একই সঙ্গে এদের যদি কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান আরিফ।
শনিবার রাতে খবর পেয়ে ওসমানী মেডিকেলে যান আরিফ। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মেয়র আরিফ বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে বাসায় ফেরার পথে তার গাড়িবহরের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ছিল রাজু। বাসায় পৌঁছে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মো. শাহজাহানের সঙ্গে দেখা করতে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর বাসা থেকে বের হয় রাজু। বাসা থেকে বের হয়ে গলির মুখে আসামাত্র তার ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হামলাকারীরা সন্ত্রাসী। খুনিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান আরিফ।
এদিকে রাতেই ওসমানী হাসপাতালে রাজুর স্বজনদের সমবেদনা জানান আরিফ। এ সময় আরিফুল হক চৌধুরীও কান্নায় ভেঙে পড়েন। হাসপাতালে মেয়র আরিফের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আহমদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামান, জেলা বিএনপি নেতা মইনুদ্দিন সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব বাবলু, সাবেক ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম নাচন।
মেয়র আরিফ হাসপাতালে অবস্থানকালে ছাত্রদলের বিদ্রোহীরা মিছিল সহকারে ওসমানী হাসপাতালে আসেন। মিছিলে তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
শনিবার মেয়র নির্বাচনের বিজয় মিছিল শেষে ফেরার পথে মেয়র আরিফের বাসার গেটে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে রাজু খুন হন। রোববার সিলেট ওসমানী হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের পর রাজুর লাশ পরিবারকে দেয়া হয়।
নিহত ফয়জুল হক রাজু সিলেট ল’ কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার শাহপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে রাজু থাকতেন সিলেট নগরীর উপশহরে তার চাচা জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক দবির আলীর বাসায়। হত্যাকাণ্ডের জন্য ছাত্রদলের আবদুর রকিব চৌধুরী গ্রুপকে দায়ী করছে ছাত্রদল।
Discussion about this post