রাজধানীর কাকরাইলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য নবনির্মিত বহুতল আবাসিক ভবন উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার(১৫ এপ্রিল) সকালে এ বাসভবনের উদ্বোধন করা হয়। ২০ তলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবন (জাজেস কমপ্লেক্স) ৭৬ জন বিচারপতি সপরিবারে থাকতে পরবেন।
২০১২ সালের ৬ মার্চ বিচারপতিদের আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির (একনেক)। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুনে সুপ্রিমকোর্টের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে তাতে বিলম্ব ঘটে।
ভবনটিতে যা যা থাকছে : নবনির্মিত ভবনটিতে স্ব-পরিবার নিয়ে বাস করার জন্য একেকজন বিচারপতি পাবেন সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট। সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সুবিধাসহ ভবনটিতে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য চারপাশে চারটি ফটক থাকছে। আর উপরে উঠা-নামার জন্য জন্য থাকবে সর্বাধুনিক সুবিধাসম্বলিত তিনটি লিফট। এছাড়াও থাকছে তিনটি সিঁড়ি। আর বিচারপতিদের গাড়ি রাখার ব্যবস্থা থাকবে ভবনটির নিচের তলায়। ভবনটি একটি হলে চারপাশ থেকে দেখা যাবে চারটি পৃথক পৃথক ভবন। ভূমিকম্প সহনীয় ব্যবহার করা হয়েছে যন্ত্র। এছাড়াও থাকছে অভ্যন্তরীণ পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সুব্যবস্থা। বিচারপতি পাবেন একটি ফ্ল্যাটে প্রায় ৮-১০টি রুম, বিচারপতির পি-এর জন্য থাকছে একটি অফিস রুম। আর বিচারপতিদের রায় লেখাসহ অন্যান্য কাজের পাবেন একটি চেম্বার রুমও।
সুপ্রিমকোর্ট রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশের উচ্চ আদালতের বিচারপতিরা রাজধানীর বিভিন্ন অনেকে ভাড়া বাসায় বা সরকারি বাসায় বসবাস করছেন। এতে সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে এবং তাদের নিরাপত্তাও যথাযথভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এসব দিক-বিবেচনা করেই ২০১২ সালের ৬ মার্চ এ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির (একনেক)। ২০১১ সালের ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এরপর ২০১৩ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সময় নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের সময় আর ভবনটির নির্মাণের কাজ আর গতি পায়নি। তারপর বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বিচারিক সেবার মান উন্নয়নেসহ নানা উদ্যোগ নেন। তার অংশ হিসেব ভবনটির পুরোদমে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দেড় একর জমিতে ৩০ তলা ভিত্তির ওপর ২০ তলা এ ভবনের নির্মাণ কাজ চলে। ২০১২ সালে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুন মাসে সুপ্রিমকোর্টের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি ভবনে এসটিপি স্থাপনের কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বর এবং প্রকল্প ব্যয় ১৪১ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৭৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।




Discussion about this post