Sunday, August 17, 2025
  • Login
No Result
View All Result
Home
BDLAWNEWS.COM
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
No Result
View All Result
BDLAWNEWS.COM
No Result
View All Result
Home প্রচ্ছদ

আরও জনপ্রিয় হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করছে আওয়ামী লীগ

by বিডিএলএন ডেস্ক
March 16, 2018
in প্রচ্ছদ, মতামত, মানবাধিকার, শীর্ষ সংবাদ, সদ্যপ্রাপ্ত
0
A A
0
19
VIEWS
Facebook
ছবিঃশেখ আদনান ফাহাদ

সরকার ইচ্ছে করলেই নিজের জনপ্রিয়তাকে বিরোধীদের ধরাছোঁয়ার অনেক বাইরে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু কী কারণে, কী যুক্তিতে সরকার জনস্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইস্যুতে গণ-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না, সেটি সরকার এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষী ও সচেতন মানুষের কাছে বিস্ময়কর  ঠেকছে।

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রশাসনের সর্বশেষ পদক্ষেপে মানুষের বিস্ময় আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার বদলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দেশের সবচেয়ে মেধাবী ছেলে-মেয়েদের উপর পুলিশ টিয়ার শেল মেরেছে, লাঠিচার্জ করেছে। গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গেছে। অথচ ছেলে-মেয়েগুলো কোনো ভাঙচুর চালায়নি, সরকার বা পুলিশ-বিরোধী কোনো স্লোগানও দেয়নি।

দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত ছেলে-মেয়েগুলোকে বৈরী করে তোলে, সরকারের কী লাভ হতে পারে, আমরা বুঝতে পারছি না। সরকার ভুল করতে পারে। সেকোনো একটা পক্ষ থেকে ইচ্ছে করেও করা হতে পারে। কারণ সরকারের ভেতরও সরকার থাকতে পারে। কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগ তো নিজের ভালো চাইতে পারে। কিন্তু কী বিস্ময়কর! আওয়ামী লীগও কি নিজের ভালো বুঝতে পারছে না?

কোটা সিস্টেমে সংস্কার আনার দাবি শতভাগ যৌক্তিক। লাখ লাখ ছেলে-মেয়ের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদের অনেকে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, আকবর আলী খান, অধ্যাপক ডক্টর আআমস আরেফিন সিদ্দিকদের মত বিদগ্ধ ও প্রগতিশীল মানুষেরা  কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিকে যৌক্তিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়েছেন। আজ পর্যন্ত যুক্তি দিয়ে কেউ তরুণ মেধাবীদের এই আন্দোলনের যৌক্তিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি।

৩০ লাখ বেকার ছেলে-মেয়েসহ দেশের সমস্ত সচেতন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একের পর এক অভিনব কর্মসূচি দিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে এরা। সাইকেল র‍্যালি করেছে, একযোগে সারাদেশে কয়েক লাখ ছেলে-মেয়ে মানববন্ধন করেছে, মন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিতে চেয়েছে। স্মারকলিপি দিতে গিয়ে যাতে কোনো গণ্ডগোল না হয়, সেজন্য আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে। কিন্তু পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই এদের উপর টিয়ার শেল মেরেছে, লাঠিচার্জ করেছে। যে পুলিশ অফিসার বা অফিসারগণ এর নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা সরকারের কতটুকু ভালো চান, আমাদের সন্দেহ আছে।

পুলিশের উচিত ছিল ছেলে-মেয়েগুলোকে প্রোটেকশন দেয়া। সচিবালয় এবং এদের মধ্যে মধ্যস্ততার দায়িত্ব পালন করতে পারত বাংলাদেশ পুলিশ। আটকে পড়া একটি চড়ুই পাখিকে উদ্ধার করে দেশের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হিরো হয়ে গেছেন। পুলিশও ছেলে-মেয়েগুলোকে আদর দিয়ে পারত হিরো হতে। অথচ কনস্টেবল দিয়ে দেশের সবচেয়ে মেধাবী ছেলে-মেয়েগুলোকে মার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন মহাপ্রতাপশালী পুলিশ আধিকারিকগণ! অথচ কদিন আগেই আপনারা ছিলেন কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের বেকার শিক্ষার্থী! এত দ্রুত নিজের আগের পরিচয় ভুলে যান কীভাবে আপনারা?

ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সবসময় লাঠি দিয়ে হয় না। পুলিশিং মানে শুধু লাঠি দিয়ে পেটানো নয়, গুলি করা নয়। এই ছেলে-মেয়েগুলোর একজনও সন্ত্রাসী নয়, ছিনতাইকারী নয়, নয় কোনো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের ক্যাডার। তাহলে কেন এদের গায়ে হাত তুলবে পুলিশ? জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ করে পুলিশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি, স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা হয়। এত ট্রেনিং করে এসে একটা সহজ বিষয়কে জটিল কেন করবে পুলিশ? স্মারকলিপি দিতে চেয়েছে শিক্ষার্থীরা। একটা প্রতিনিধি দল নিয়ে পুলিশের একজন অফিসার সচিবালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসাটা খুব কঠিন কাজ ছিল?

অযথা এতগুলো মেধাবী, আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ছেলে-মেয়েকে আটক হতে দেখে পুরো দেশের শিক্ষার্থী সমাজ ফুঁসে উঠে। বিভিন্ন মহাসড়ক অবরোধ করে বসে। এদেরকে প্রথমবারের মত অশান্তিপূর্ণ কাজ করতে বাধ্য করেছে প্রশাসন। অবশেষে তরুণ সমাজের শক্ত প্রতিবাদের মুখে আটককৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।

এত বড় একটা আন্দোলন চলছে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েগুলো অনেক সবুর করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে চলেছে। অথচ সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। শুধু একটা  চাকরির সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোটায় শূন্যপদে মেধাবীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মূল দাবির একটাও এখন পূরণ করার কোনো সরকারি ঘোষণা আসেনি। পাঁচ দফা যৌক্তিক দাবিকে সামনে রেখে দেশের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে আন্দোলন করছে। দাবিগুলো হল-কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসতে হবে, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্কস ও বয়সসীমা নির্ধারণ করতে হবে, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদগুলো মেধায় নিয়োগ দিতে হবে।

দুই কারণে সরকারের উচিত দাবিগুলো মেনে নেয়া। প্রথমত, আন্দোলনের সাথে দেশের তরুণ সমাজের প্রায় সবাই সহমত। দেশে কোনো স্বৈরশাসন চলছে না যে, জনগণের ভোট লাগবে না ক্ষমতাসীন দলের। বরং সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং সমর্থনই আওয়ামীলীগ এবং বর্তমান সরকারের মূলধন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের তরুণ সমাজসহ সাধারণ ভোটারগণ আওয়ামীলীগের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। নবীন ভোটারগণ ছিলেন সে নির্বাচনের মূল কারিগর। নতুন করে দেশে লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে ভোটার হয়েছে। এরাই তো এখন আন্দোলন করছে। এই সহজ হিসেব আওয়ামীলীগ সরকার বুঝতে পারছে না?

দ্বিতীয়ত, সংস্কারের দাবি শতভাগ যৌক্তিক। অবাঙালি নৃগোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখা হয়েছে। কিন্তু এই কোটার সুবিধা নিচ্ছে চাকমা বা মারমা জাতীয় কিছু বড় গোষ্ঠী। সাঁওতাল বা গারোদের কয়জন এই কোটা সুবিধা পাচ্ছে? আবার পাহাড়ে শত শত বছর ধরে বাস করা বাঙালিদের জন্য কি কোন কোটা আছে? কিংবা গরীব একজন বাঙালি মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানের জন্য কি কোটা আছে? বাঙালি হয়ে কি আমরা অপরাধ করে ফেলেছি? চাকমা বা মারমা রাজার মেয়ে/ছেলেরা কোটার সুবিধা পাবে; কিন্তু গ্রামের কৃষকের সন্তান কোটা পাবে না; তাহলে কি বাঙালি হওয়া অপরাধ! অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে। কিন্তু অন্যদের সুবিধা দিতে গিয়ে গরীব বাঙালিদের পিছিয়ে থাকতে হচ্ছে।

সংস্কার সংক্রান্ত আলোচনায় সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয় হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি এই কোটায় সংস্কার চাই। ৩০ পারসেন্ট কোটা এতদিন পরে রাখার আর কোন যুক্তি নাই। কারণ বহুদিন ধরে আমরা দেখছি, বিভিন্ন চাকরির পদগুলো শূন্য পড়ে থাকছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে নিয়েছেন। এটা তাঁদের প্রাপ্য ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের ফলেই আমরা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে কিছু করে খেতে পারছি। সম্মান এবং তাঁদের প্রতি দায়িত্বের স্মারক হিসেবে রাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধাদের  কোটা সুবিধা  দিয়েছেন। যখন দেখা গেল, কোটা থাকলেও অনেক মুক্তিযোদ্ধা নানা কারণে কোটা সুবিধা নিতে পারছেন না, তখন তাঁদের সন্তানদের সুবিধা দেয়া হল। এখন তাঁদের সন্তানেরা কোটা সুবিধা পেয়েও নিজেদের যদি প্রতিষ্ঠিত করতে না পারেন তাহলে এর দায় কার?

সন্তানকে কোটা সুবিধা দেয়ার পর কয়েক বছর ধরে নাতি-নাতনিদেরও সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে! একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি আগেই বলেছি, নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা সুবিধা বাতিল করা হোক। সন্তানদের জন্য কোটা সুবিধা থাকতে পারে, তবে ৩০ পারসেন্ট নয়; আমার ব্যক্তিগত মত, বড়জোর ১০ শতাংশ হতে পারে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সনদ, কোটা সুবিধা ছাড়াও রাষ্ট্র মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করেছে। দরকার হলে ভাতা আরও বাড়ানো হোক, কিন্তু বিদ্যমান কোটা সুবিধায় অবশ্যই সংস্কার আনতে হবে । ফলে জনপ্রিয়তা এবং যুক্তির মানদণ্ডে সরকারের উচিত কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নেয়া।

কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে অনেকে ইচ্ছে করে কোটাবিরোধী আন্দোলন বলে চালিয়ে দিচ্ছে কেউ কেউ। কোটা বাতিলের আন্দোলন কেউ করছে না। সংস্কারের অংশ হিসেবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে নাতি-নাতনি কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছি। সরকার আমার বেতন বাড়িয়েছে। আমি ভালো আছি। আমার বউ চাকরি করে। আমার সন্তানকে যদি কোটা সুবিধা নিয়ে বাঁচতে হয় তাহলে আমার জন্য বিষয়টি লজ্জার। মুশকিল হল মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সন্তান এই লজ্জাটুকু পাচ্ছেন না। এমনকি প্রিলিমিনারি থেকে কোটা সুবিধা দেয়ার দাবি তুলছেন! অথচ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে এই সন্তানেরা কিছুই বলছেন না। রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা সেজে বসে আছে। রাজাকারের তালিকা তৈরির কোন প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অথচ রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজ ছিল অনেক বেশি জরুরি। সুবিধা নেয়ার আশায় প্রতিবছর দেশে সনদধারী মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলেছে। অবশেষে সরকারের টনক নড়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক কদিন আগে নিজেই বলেছেন, দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের একটা অংশ ঘুষ খেয়ে ভুয়া লোকজনকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছেন। বড় কয়েকজন সচিব পর্যন্ত সনদ জাল করেছেন বলে আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেনেছি। এদের মত কিছু কুলাঙ্গারের জন্য জন্য দেশের নতুন প্রজন্ম প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের সন্তানদের দিকে বাঁকা চোখে তাকানোর অবকাশ পায় এবং পাকিস্তানপন্থী অশুভ শক্তি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপত্তিজনক কথা বলার সুযোগ পায়। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি একইসাথে গর্বিত এবং দুই নম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিব্রত।

নিজেরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করছেন না, আবার আন্দোলনকারীদেরকে ‘শিবির’ বলে আখ্যায়িত করছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ধারী অনেকে। দেশের এত ছেলে-মেয়ে শিবির করে? এই কথা স্বয়ং শিবিরও বিশ্বাস করবে না। দেশের মানুষ ধর্মের নামে উগ্রবাদ পছন্দ করে না। ইসলাম এবং ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এক বিষয় নয়। ফলে যারা রাগে, ক্রোধে এবং স্বার্থের বশে আন্দোলনকারীদের শিবির বলছেন, তারা মূলত স্বাধীনতা-বিরোধী অপশক্তির মুখপাত্র হিসেবেই কাজ করছেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে শুরু থেকেই সমতা-ভিত্তিক সমাজ নির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি ও রাষ্ট্রগঠন কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু পরাজিত শক্তির হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হলে তাঁর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বড় ধরনের হোঁচট খায়। এরপর দীর্ঘ অমানিশা। সেই অমানিশা কাটিয়ে উঠে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আলোর পথের যাত্রী। দেশের একটি আলোচিত ইস্যুকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ-বিরোধী স্থানীয় অপশক্তি এবং তাঁদের বিদেশি প্রভুরা যেন দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার সুযোগ না পায়, সে জন্য সরকারের উচিত দেশের তরুণ সমাজের সমস্ত যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

–ঢাকা টাইমস ২৪ ডট কম থেকে সংগ্রহ করেছেন ‘মিহির মিশকাত’।

Next Post

কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে বিএনপি-জামাতের বিশাল জয়

Discussion about this post

নিউজ আর্কাইভ

August 2025
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
« Oct    
Facebook Youtube RSS


সম্পাদক: এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম,
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

অফিস ঠিকানাঃ

বকাউল ম্যানশন, ৩য় তলা, সেগুন বাগিচা মোড়, ৪২/১/খ, সেগুন বাগিচা, ঢাকা - ১০০০ ।
মোবাইলঃ 01842459590

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

No Result
View All Result
  • আন্তর্জাতিক
  • ’ল’ ক্যাম্পাস
  • অনিয়ম
  • অন্যান্য
    • একাদশ নির্বাচন
    • খেলাধুলায় আইন
    • আইন চাকুরী
    • আইন জিজ্ঞাসা
  • আইন পড়াশুনা
  • আইন সংস্থা
  • আইন-আদালত
  • আইনী ভিডিও
  • ইংরেজি
  • উচ্চ আদালত
  • কোর্ট প্রাঙ্গণ
  • খেলাধুলা
  • গুণীজন
  • জাতীয়
  • জেলা আইনজীবী সমিতি
  • দেশ ও দশ
  • দেশ জুড়ে
  • অপরাধ
  • দৈনন্দিন জীবনে আইন
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রাজশাহী
    • বগুড়া
  • বিনোদন
  • ব্লগ
  • মতামত
  • মানবাধিকার
  • রাজনীতি
  • লিগ্যাল নোটিশ
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • শীর্ষ সংবাদ
  • সাক্ষাৎকার
  • যুগান্তকারী রায়

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In