হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেলে যাওয়া সাত-আট মাসের শিশুর প্রকৃত বাবা-মাকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান পুলিশকে এ নির্দেশ দেন।
এদিন শিশু ফাতেমার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিতে ছয় দম্পতি আবেদন করেন। আগামী ৬ আগস্টের মধ্যে শিশুটির প্রকৃত বাবা-মাকে খুঁজে না পাওয়া গেলে এদের যেকোনো এক দম্পতিকে বাছাইপূর্বক শিশুটির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
ছয় দম্পত্তি হলেন- সেলিনা আক্তার, শ্যামলী আক্তার, লায়লা নূর, নিঝুম আক্তার, শাহনাজ বিনতে হান্নান ও দুলসাদ বেগম বিথি।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই জর্ডান থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরছিলেন জয়দেবপুর নিবাসী স্বপ্না বেগম। একই বিমানে শিশুটি ও তার মাও ফিরছিলেন। স্বপ্না জর্ডানে গৃহকর্মী হিসেবে গিয়েছিলেন। অজ্ঞাত নারীও একই কাজে সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানতে পারেন স্বপ্না।
স্বপ্না বিমানবন্দর পুলিশকে জানান, ওই নারীও তার সঙ্গে জর্ডান থেকে একই ফ্লাইটে ফিরেছেন। বিমানবন্দরে অবতরণের পর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাস্টমস থেকে মালপত্র নিয়ে বের হতে বিমানবন্দরের ক্যানওপি পার্কিং এলাকায় স্বজনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন স্বপ্না।
এ সময় বিমানে পরিচয় হওয়া শিশুটির মা তাকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপা আমার শিশুটাকে একটু ধরেন। ভেতরে মালপত্র রয়েছে, নিয়ে আসছি।’ আগে কথা হওয়ায় সরল বিশ্বাসে শিশুটিকে কোলে তুলে নেন স্বপ্না। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও সেই নারী আর ফেরেননি।
পরে স্বপ্না আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের কাছে ঘটনাটি জানালে তারা বিস্তারিত শোনার পর শিশুসহ স্বপ্নাকে বিমানবন্দর থানায় পাঠায়। ওইদিনই বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি করা হয়। এরপর শিশুটিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়।
Discussion about this post