জাপানি বংশোদ্ভূত পরিচালক রিকিয়া মাসুদো গ্লিটজকে জানিয়েছেন, সিনেমাটির শুটিং শেষ হওয়া মাত্রই তাকে পুরো প্রকল্প থেকে বাদ দেয়া হয়।
২০১৪ সালের শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছিল, সে বছর ঈদে মুক্তি পাবে ‘স্টোরি অব সামারা’। পরবর্তীতে নানা কারণ দেখিয়ে মুক্তির দিন পিছিয়ে দেয়া হয়।
তবে সিনেমাটির প্রচারে বরাবরই তৎপর ছিল প্রযোজনা সংস্থা ভারটেক্স মিডিয়া। মূলত পাঁচ বন্ধুর গল্প নিয়ে সিনেমাটি নিয়ে নির্মিত হলেও প্রচারের ক্ষেত্রে সিবা আলী খান ও সাঞ্জু জনকেই সিনেমার মুখ্য চরিত্রের অভিনয়শিল্পী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অন্য তিন চরিত্রে অভিনয় করা আমান রেজা, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, ইমোকে প্রচারের ক্ষেত্রে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়া হয়নি।
লন্ডনে অবস্থানরত আমান রেজা জানান, সিনেমাটি মুক্তির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
“সিবা আলী খান, সিনেমাটির একজন প্রযোজক। তার সঙ্গে প্রযোজক হিসেবে যোগ দিয়েছিল তার বন্ধু জানে আলম। সিনেমাটির শুটিংয়ে একাধিকবার লক্ষ্য করেছি, তারা তাদের ইচ্ছামতো সব কিছু করতে চাইতো। সবচেয়ে বড় কথা, সিনেমার ভাল-মন্দ তো বুঝবেন পরিচালক। কিন্তু তাকে শেষ পর্যন্ত বাদ দেয়া হলো। এরপর সিনেমাটি নিয়ে আর কিছু কি বলার অবকাশ থাকে?”

পরিচালক রিকিয়া মাসুদো বললেন, “আমি সত্যিই বিরক্ত। অনেক আশা করে নিজের দেশে সিনেমা বানাতে এসেছিলাম। কিন্তু যা হলো, তা আমার সত্যি ভাল লাগছে না। সিনেমার শুটিং শেষে হঠাৎ একদিন ফুটেজ, আমাদের এডিটিং প্যানেলের যাবতীয় সবকিছু জানে আলমরা এসে নিয়ে যায়। আমাকে জানানো হয়, সিনেমার যাবতীয় কাজ নাকি তারাই করতে পারবে। আমি খুব অপমানিত হলাম। এরপর জানা গেল, তারা আমাকে প্রজেক্ট থেকে বাদ দিয়েছে। শুধু পরিচালক হিসেবে আমার নামটুকু যাবে, এটুকু যেন সান্তনা।”
রিকিয়া জানালেন, শুরুতে তার সঙ্গে সিনেমাটি প্রযোজনা করার কথা ছিল সিবা আলী খানের। সিনেমাটির শুটিং কদিন যেতেই সিবা নিয়ে এলেন তার ‘বড় ভাই’ জানে আলমকে। সিনেমাটি পরিচালনা, প্রযোজনার পাশাপাশি সিনেমাতে একটি নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে রিকিয়াকে।
এদিকে পিয়া বলছেন, “সিনেমাটির সব কিছুই ম্যানেজ করছে সিবা আলী খান। সে যেভাবে চাচ্ছে, প্রচার-প্রচারণা সেভাবেই হচ্ছে। তার কথামতো সব কিছু হচ্ছে। তার কথাবার্তা শুনলে মনে হবে, সে একাই এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করছে। সিনেমাটি নিয়ে সত্যি আর আগ্রহ নেই।”
Discussion about this post