বিডি ল নিউজঃ
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে গনধর্ষনের শিকার দরিদ্র পরিবারের সেই মহিলাকে ধর্ষকদের একজন স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হল। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে আব্দুস শহীদ ও তার কয়েক সহযোগী মিলে একই গ্রামের মৃত আজিজের সদ্য স্বামী পরিত্যক্ত মেয়েকে তার বাড়ি থেকে বুধবার রাতে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রামের পার্শবর্তী কবরস্থানে ফেলে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষন করে রক্তাক্ত ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে পরদিন বৃহষ্পতিবার সকালে ধর্ষিতা থানায় আইনি আশ্রয় ও চিকিৎসাসেবা গ্রহন করতে উপজেলা সদরে আসতে চাইলেও বিষয়টি সামাজিক ভাবে সালিষে নিস্পক্তির আশ্বাস দেয়ার পাশাপাশী ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষকদের পক্ষে অবস্থান নেয়া গ্রাম্য মাতব্বরদের একটি গ্রুপ তাকে থানায় আসতে দেয়নি।
এক পর্যায়ে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা তৎপর হয়ে উঠলে ধর্ষণের মুল হোতা তিন সন্তানের জনক আব্দুস শহীদ তার প্রথম স্ত্রীর অনুমতিপত্র নিয়ে শনিবার দুপুরে ২ লাখ টাকা মোহরানায় সেই ধর্ষিতাকে বিয়ে করে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিল। উপজেলা সদরে বিয়েতে ফেনার বাঁক ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, ইউপি সদস্যগণ, এলাকার গণমান্য ব্যাক্তিবর্গ ছাড়াও শহীদের প্রথম স্ত্রী আনোয়রা খাতুন সহ বর কনে উভয় পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ে পড়ান কাজি আ.ন.ম শরফুল বাশার।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান শনিবার বিকেলে জানান, উভয় পরিবারের লোকজনের সম্মতিতেই সামাজিক ভাবেই বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে, বিয়েতে শহীদের প্রথম স্ত্রী লিখিত ভাবে অনুমতি দিয়েছেন।
জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন , শনিবার বিকেলে ভিকটিম থানায় এসে নিজেই তার বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি আমাকে জানিয়ে গেছেন।
Discussion about this post