রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার স্বর্ণদ্বীপে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ম্যানুভার অনুশীলন ২০১৭-১৮ মহড়া পরিদর্শন করবেন। রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের আপন বিভাগের প্রটোকল অফিসার মো. মুরাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সফরসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মো. শফিউল হক উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানাবেন। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে অভিবাদন গ্রহণ করবেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি স্বর্ণদ্বীপে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, সেনাবাহিনীর তৈরি বিদেশি নারিকেল বাগান, ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের নির্মাণ কাজ ও মিলিটারি ডেইরি ফার্ম পরিদর্শন করবেন।
রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে স্বর্ণদ্বীপে ব্যাপক সাজসজ্জা ও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে নোয়াখালীর দক্ষিণে মেঘনা নদী এলাকায় প্রায় ২০ বছর আগে জেগে ওঠে এই চর। নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী প্রায় লক্ষাধিক একর জায়গায় জেগে ওঠা এই চরে বেশিরভাগ জায়গা হচ্ছে হাতিয়া উপজেলার। এছাড়া এই চরে জেলার সুবর্ণচর ও চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপের কিছু অংশ রয়েছে। মূলত তিনটি উপজেলার ভূমি নিয়ে এই চরের উৎপত্তি। সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে ৩ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ৩৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই চরটি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তাস্তর করার পর এটি স্বর্ণদ্বীপ হিসেবে নামকরণ করা হয়। যা পূর্বে জাহাইজ্জার চর নামে পরিচিত ছিল। স্বর্ণদ্বীপের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি ত্রিমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে। এগুলো হলো প্রশিক্ষণের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বনায়ন ও স্থানীয় জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে স্বর্ণদ্বীপকে রক্ষা করার জন্য সেখানে বনায়ন ও বৃক্ষরোপণের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর সীমিত বাজেট দিয়ে বনায়ন ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬০ হাজার ঝাউ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। হেলিকপ্টারের সহায়তায় সিড বোম্বিংয়ের মাধ্যমে ২ টন কেওড়ার বীজ বপণ করা হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আনা ডুয়ার্ফ প্রজাতির ১৫ শত নারিকেল গাছের চারার সমন্বয়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কারিগরি সহায়তায় একটি আদর্শ নারিকেল বাগান তৈরি করা হয়েছে।




Discussion about this post