নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর দুইবারের ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাসেলের মেঝেতে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রায় ১৪ মাস যাবত পুলিশি হেফাজতে কারাবন্দি জীবন যাপন করছেন তিনি। এতে করে উন্নত চিকিৎসার অভাবে ক্রমশই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এই কেন্দ্রীয় নেতা।
স্বাস্থ্যের ক্রমঅবনতির মুখে সোমবার (১৮ এপ্রিল) তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এনে ফিজিও থেরাপি দেয়ার পর ফের কারাসেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহিদুল্লাহ কায়সার বাংলামেইলকে বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের দাবিদার এ সরকারের কারাগারের সেলের মেঝেতে মাহমুদুর রহমান মান্নার মত একজন নেতা ঘুমাবে, দেশের মানুষ তা মানতে পারে না। আমরা দল ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দফায় দফায় তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার কথা জানিয়ে আসছি। অথচ সরকার বরাবরই এ দাবি উপেক্ষা করে চলেছে।’
এদিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে দিন দিন স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে মান্নার। তার জীবন এখন চিকিৎসাভাবে হুমকির মুখে। দ্রুত তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে যেকোনো পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে জানান নাগরিক ঐক্যের এ কেন্দ্রীয় নেতা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বনানীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। ১৮ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর তাঁকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার ২৪ ফেব্রুয়ারি দুটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। দুই মামলায় ২০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে মান্নাকে নির্যাতনের ফলে ১৩ দিন পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের সুচিকিৎসার সুপারিশ উপেক্ষা করে তাঁকে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
এর পর থেকে রিমান্ডের অজুহাতে এ পর্যন্ত জামিনের আবেদন করা যায়নি। এভাবে ১১ মাস পার হচ্ছে। এ রিমান্ডকে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত উল্লেখ করে হাইকোর্টে তা বাতিলের দাবিতে মামলা করা হলে, প্রথমে কেন রিমান্ড বাতিল করা হবে না মর্মে শোকজ করা হয়। এর জবাব না দেয়ায় হাইকোর্ট রিমান্ড বাতিল ঘোষণা করলে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে সরকার পক্ষ আপিল করে। এখন রায়ের কপি না পাওয়ায় সবকিছু থমকে আছে।




Discussion about this post