স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল হক ও সিনিয়র সহকারী সচিব মাকসুদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না— এই মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার (১৬ জুলাই) এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী এই মামলা দায়ের করেন।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, ‘আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ২৮টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন), স্টরয়েড, অ্যান্টিক্যান্সার ও হরমোনবিষয়ক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের বিষয়ে সরকারের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি না রাখায় তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আরও জানান, ‘২৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড হাইকোর্টের রায়ের পর আপিল বিভাগে আবেদন করে। এ আবেদনের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কয়েকটি রিপোর্ট ও প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। এ থেকে দেখা যায়, স্বাস্থ্য অধিদফতর গত ১৮ জুন চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া টেকনোড্রাগের পক্ষে মন্ত্রণালয়ে গত ৫ জুলাই একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এ প্রতিবেদন দেখার পর এইচআরপিবির পক্ষে ১০ জুলাই স্বাস্থ্য সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।’
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি বাতিল না করলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি বাতিল না করায় ওই দুই জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য, এইচআরপিবির করা এক রিটের পর গত ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির ছাড়পত্র ছাড়া ২৮টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ওসেফালোস্পোরিন), স্টরয়েড, অ্যান্টিক্যান্সার ও হরমোন বিষয়ক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ১৫দিনের মধ্যে ওষুধ প্রশাসন মহাপরিচালককে ৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়।
Discussion about this post