নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন আইনের মামলা তদন্তে দুর্ঘটনা প্রমাণিত না হলে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি চালানো হয়েছে বলে মনে হলে ৩০২ ধারায় বিচার হবে। এই আইনে মামলার বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ার সুযোগ নেই, গুরুত্বপূর্ণ হলে তা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, এছাড়া ৩০২ ধারায় মামলা হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। আর যদি তদন্তে মনে হয়, হত্যার উদ্দেশ্যে নয়, বেপরোয়া চালানোর কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাহলে সড়ক পরিবহন আইনের ১০৩ ধারায় মামলা হবে। এই ধারায় সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। এর আগে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
এছাড়া খসড়া সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও তার পরিবারকে সহায়তা দিতে একটি তহবিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, কেউ যদি রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি চালায়, তাহলে তাকে ৬ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা অথদণ্ড দেয়া যাবে। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। ফিটনেস না থাকা মটরযান চালালে শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে এ আইনে। শাস্তি পাবে গাড়ির মালিক। গাড়ির চেচিচ বা আকার আকৃতির পরিবর্তন করলে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ টাকা অথদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। তবে কারাদণ্ড কখনই এক বছরের নিচে দেয়া যাবে না।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷ বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান। এরপর আইনটি সংসদের আগামী অধিবেশনে তোলা হবে পাসের জন্য৷ রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানী জুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চূড়ান্ত অনুমোদন পেল আইনটি। দেড় বছর আগে খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এখন আইনটি পাসের জন্য সংসদের আগামী অধিবেশনে তোলা হবে৷




Discussion about this post