হাজার-হাজার আইনজীবীর অংশগ্রহণে অ্যাটর্নি জেনারেলের জানাজা সম্পন্ন
ডেস্ক রিপোর্ট:-
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের পেশ ইমাম আবু সালেহ মো. সলিম উল্লাহ তার জানাজায় ইমামতি করেন।জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ফজলে নুর তাপস, সুপ্রিম কোর্টের বারের সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনসহ হাজার হাজার আইনজীবীবৃন্দরা জানাজায় অংশগ্রহন করেন ।
অ্যাটর্নি জেনারেলের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা শেষ করে তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবে আলম। সোমবার সকালে বেইলি রোডের সরকারি বাসায় তার মরদেহ আনা হয়।

সেখানে তার মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান দীর্ঘদিনের সহকর্মী আইনজীবীসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। তাদের মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও উপস্থিত ছিলেন।জ্বর ও গলা ব্যাথা নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই করোনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। সর্বশেষ টানা ১১ বছর দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের এয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনীসহ ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করেন। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন।
Discussion about this post