নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশগামী শ্রমিকদের সুবিধার কথা ভেবে আগামী ১ জুলাই থেকে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট দেয়া শুরু করবে সরকার। আর এর আগেই ই-পাসপোর্টের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাসপোর্ট অধিদফতর আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের বিষয়ে জার্মান প্রতিষ্ঠান আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বাংলাদেশকে সবকিছু বুঝিয়ে দেবে। সব প্রস্তুতি রয়েছে। ইনশাল্লাহ, আমরা আগামী জুলাই থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া শুরু করব। সবাই অপেক্ষা করেন।
একটি জার্মান কোম্পানি পাসপোর্ট তৈরি করবে, এতে তথ্যচুরির আশঙ্কা রয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না। এরকম কোনো আশঙ্কা নেই। যারা এরকম আশঙ্কা করে তারা অবান্তর চিন্তা থেকে এই ধারণা করেন।
এরআগে গত ১৬ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আনার তথ্য জানানো হয়েছিলো। ওই ভেঠক শেষে কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিলেন, এ বছরের মধ্যেই ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট চালু হবে। আর আগামী জুলাই থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া শুরু হবে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে বিশ্বের যেকোনও স্থান হতে ওই পাসপোর্টধারীর নম্বর সার্চের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সব তথ্য পাওয়া যাবে।
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) পদ্ধতি চালু করে। কিন্তু এমআরপি ব্যবস্থায় দশ আঙুলের ছাপ ডাটাবেজে সংরক্ষণ না থাকায় একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতা ধরা পড়ে। এর ফলে ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে অনুভব করে সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের নির্দেশ দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জার্মানি সফরের সময় ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সে দেশের প্রতিষ্ঠান ভ্যারিডোস জিএমবিএইচ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ই-পাসপোর্ট চালুর বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে সেই পাসপোর্টের সুবিধা ভোগ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ।
অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্য সাগরে নৌকা ডুবে নিহত বাংলাদেশিদের জন্য শোক প্রকাশ করা হয় সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। যেসব ‘দালাল চক্র’ মানব পাচারে জড়িত, তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আহত ও নিহতদের সহযোগিতা দেওয়ার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।




Discussion about this post