নিজস্ব প্রতিবেদক: ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার প্রার্থিতা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বিকলে তিনটায় বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছিলেন, রবি-সোমবারের মধ্যে এবিষযে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ১৮ ডিসেম্বর আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ২৫ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের প্রার্থিতা অযোগ্য ঘোষণা ও বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) একটি আবেদন করা হয়। আবেদনটি করেছিলেন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, সমাজকল্যাণসচিব শাহ মোহাম্মদ আলী হুসাইন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’-এর সভাপতি হুমায়ুন কবির ও সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. এমদাদুল হক।
আবেদনটি তিন দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও ইসির প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একই সঙ্গে জামায়াত নেতাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি জেনারেল এবং ২৫ প্রার্থীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ শনিবার (২২ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন। নির্বাচন কমিশন আজ ওই আবেদনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে দেওয়া ২২টি আসন ও স্বতন্ত্রভাবে তিন আসনে জামায়াত নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ২১টি আসনে বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’এবং চার আসনে ‘আপেল’ প্রতীকে তারা নির্বাচন করছেন।
তারা হচ্ছেন ঢাকা-১৫ আসনে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, চট্টগ্রাম-১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ, কুমিল্লা-১১ ডা. আব্দুল্লাহ মো. তাহের, খুলনা-৫ মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ মুক্তিযোদ্ধা গাজী নজরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ-৩ মতিয়ার রহমান, যশোর-২ মুহাদ্দিস আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদৎ হুসাইন, বাগেরহাট-৩ আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ শহীদুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-২ আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ আনওয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৪ মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ ইকবাল হুসাইন, রংপুর-৫ গোলাম রব্বানী ও পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী। এর মধ্যে কক্সবাজার-২ আসনে হামিদুর রহমান আযাদ ধানের শীষ প্রতীক পাননি। তিনি আপেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আর স্বতন্ত্র হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে নুরুল ইসলাম বুলবুল, পাবনা-১ আসনে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান (নাজিব মোমেন) এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আপেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
Discussion about this post