ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার আগের নির্বাচনের তুলনায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার।
নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে উপসচিব আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত আসনভিত্তিক কেন্দ্রের গেজেটে ভোটকেন্দ্রের ক্রমিক নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম ও অবস্থান, ভোটকক্ষের সংখ্যা, ভোটার এলাকা, পুরুষ ও মহিলাসহ মোট ভোটার সংখ্যা উল্লেখ রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
মঙ্গলবার এতথ্য নিশ্চিত করে ইসির উপ-সচিব আব্দুল হালিম খান বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে, তাই মঙ্গলবারের মধ্যে সব কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনায় নির্ধারিত সময়েই ৩০০ আসনের সব কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
ভোটের কমপক্ষে ২৫ দিন আগে আসনভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের প্রজ্ঞাপন জারি করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে জানিয়ে হালিম খান বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো ৩০০ আসনের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে আসনভিত্তিক কেন্দ্রের গজেট প্রকাশের জন্য প্রেসেও পাঠানো হয়েছে।
গত আগস্টে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনে ৪০ হাজার ৬৫৭টি সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের তালিকা হয়।
দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের বিপরীতে ভোটকেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি। ৩০০ আসনে ভোটকক্ষ ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। এবার ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখেরও বেশি।
৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর বৈধ প্রার্থীদের মাঝে রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন। এরপরই প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।




Discussion about this post