ডেস্ক রিপোর্ট
বেলা একটা। স্থান বনানীর ১৯/এ নম্বর রোডের একটা বাড়ি। এ বাড়িতেই থাকেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এই বাসা থেকেই ৮ জুন বোনসহ বেরিয়েছিলেন। মর্মান্তিক ওই ঘটনার পর এ বাসাতেই আবার ফিরেছিলেন। এ বাসায় বসেই গতকাল রোববার রাতে সংবাদসম্মেলন জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন পরীমনি।
আজ সোমবার বাসার সামনে গিয়ে দেখা গেল আর দশটা দিনের মতোই বাড়ির সামনের পরিবেশ। ব্যতিক্রম শুধু একটা পুলিশ ভ্যান।বাড়ির সামনের সড়কে অবস্থান করছে যানটা, তাতে চারজন পুলিশ সদস্য। জানা গেল, বনানী থানা থেকে এসেছেন তাঁরা। গতকাল রাত থেকেই পালা করে বাড়িটা পাহারা দিচ্ছে পুলিশ।

বাড়ির মূল ফটকের ভেতরে দেখা গেল বাড়ির দারোয়ানকে। একা। নাম খোরশেদ। দুদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা নেই, জানান তিনি। বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে অনেক মানুষ আসছেন। ভোররাতে পুলিশের লোকও এসেছিলেন। কিন্তু কী কারণে এসেছিলেন, জানি না।’
আজ সকালে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পরীমনি। দুপুরের মধ্যে প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করে পরীমনি বলেন, ‘এত দ্রুতই প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় এখন ভরসা পাচ্ছি। নিশ্চিন্ত হলাম। বাঁচতে পারব। বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।’
Discussion about this post