সাভারের রানা প্লাজা ধসের ১৭ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে পোশাককর্মী রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘রানা প্লাজা’র প্রদর্শনী ও সম্প্রচারে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। ওই চলচ্চিত্রের জন্য সেন্সর বোর্ডের দেওয়া সনদের কার্যকারিতাও একই সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেয়।
এর ফলে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন বা কোনো মাধ্যমে দেশে বা বিদেশে এর সম্প্রচার বা প্রচার করা যবে না বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।
‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রের জন্য দেওয়া সেন্সর সনদ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে আদালতের রুলে।
তথ্য সচিব, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্রটির প্রযোজককে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শামীম আক্তার প্রযোজিত ও নজরুল ইসলাম খান পরিচালিত ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ড।
বিভিন্ন দৃশ্যের কারণে এ চলচ্চিত্রের ছাড়পত্র দীর্ঘদিন আটকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রকে সনদপত্র দেয়।
এই সিনেমায় ‘ভীতিকর চিত্র’ দেখানো হয়েছে অভিযোগ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
সোমবার আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
আদেশের পর মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, “১৯৭৭ সালের বাংলাদেশ প্রিন্ট সেন্সরশিপ রুলস অনুসারে ভীতিকর চিত্র প্রদর্শন করা যায় না। ভীতিকর টিভি ফুটেজ দেখানো, নিরাপত্তা বাহিনীর নাম ব্যবহারও ওই আইনের লঙ্ঘন। এসব যুক্তিতেই রিট আবেদনটি করা হয়।”-বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম





Discussion about this post