যেকোনো সময় গ্রেফতার ওসি প্রদীপসহ ৯ পুলিশ

[responsivevoice_button voice=”Bangla India Female” buttontext=”Listen to Post”]

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ অভিযুক্ত ৯ আসামি।

সিনহা হত্যার বিচার চেয়ে টেকনাফের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা মামলাটি আদালতের আদেশে টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হওয়ার পর বুধবার রাতে এজাহারভুক্ত সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক ইলাহী শাহজাহান নূরী বলেন, টেকনাফের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ্’র দেয়া আদেশের কপি, সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টসসহ টেকনাফ মডেল থানায় পাঠানো হয়। মোহাম্মদ ফারুক নামে আদালতের একজন বাহককে দিয়ে বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আদালতের পরোয়ানার আদেশসহ অন্যান্য কাগজপত্র টেকনাফ মডেল থানায় পৌঁছানো হয়।

মেজর সিনহা হত্যার বিচার চেয়ে টেকনাফের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা মামলাটি আদালতের আদেশ মতে টেকনাফ মডেল থানায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। মামলাটি রুজু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মামলার এজাহারভুক্ত সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল, কনস্টেবল মো. মোস্তফা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া আসামিরা আগের কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার হয়ে এখন পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন।

নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করায় মামলাটি এখন তদন্তের জন্য টেকনাফ মডেল থানা থেকে র‌্যাব-১৫ এর কাছে পাঠাতে হবে। র‌্যাব-১৫ মামলাটি তদন্ত করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।