সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে আমরা বা আমাদের ছোট থেকে বড় সবাই কিছু না কিছু জানি।
যা কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে যে অপরাধ সংঘটিত হয়,তা-ই সাইবার ক্রাইম।
সাইবার ক্রাইম ঠিক কত সালে শুরু হয়েছে তা কোথাও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা নেই।তবে,” তাইওয়ানের চেন ইং হাওয়ে ” এর তৈরি CIH ভাইরাস টি বিশসব্যাপি আঘাত হানলে সাইবার ক্রাইম আলোচনার শীর্ষে চলে আসে।
FBI এর তথ্য অনুযায়ী ১৯৯৬-২০০০ সালের তুলনায় ২০০১-২০০৫ সালে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি সাইবার ক্রাইম সংঘটিত হয়েছে। আর তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আধুনিক সমাজ ব্যাবস্থায় কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তির ওপর মানুষের নির্ভরতা এতোটাই বেড়েছে যে,প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পুরোপুরি অসম্ভব।
আর তাই অপরাধীরা তাদের অপরাধ কর্মকান্ডের ‘ Target(লক্ষ্য) এবং Tool(যন্ত্র)’ হিসেবে বেছে নিয়েছে। সাইবার ক্রাইম কে “White Collar Crime” ও বলা যায়।
সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে অপরাধীরা কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তির সম্পর্কে সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষতার পরিচয় দেয়।
এমনকি অনেক সময়ে,প্রশাসনকে ও হিমসিম খেতে হয় এই সমস্ত সাইবার ক্রিমিনালদের কাছে।
সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে অপরাধীরা নানান অপরাধের জন্ম দেয়।তন্মধ্যে,হ্যাকিং এর মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা আত্নসাত,সরকারি-বেসরকারি তথ্য ফাঁস,ব্ল্যাকমেইল বা হুমকি,
মানব পাচার,যানবাহন চুরি,মাদক পাচার,মানুষ খুনের মতো অপরাধ করে থাকে।
Discussion about this post