যশোর প্রতিনিধি: যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর হত্যা মামলায় নজরদারিতে থাকা কেন্দ্রের সাত কিশোরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দিন হুসাইন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন মঞ্জুর করলে ওই সাত কিশোরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো গাইবান্ধা সদর উপজেলার চৌদ্দকুড়িসিং বানপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমান তুহিন, নাটোরের সিংড়া উপজেলার জোড়মল্লিক গ্রামের হুমাইদ হোসেন, পাবনা বেড়া উপজেলার সন্ন্যাসপাড়ার ইমরান হোসেন, রাজশাহীর মতিহার উপজেলার কাজলা গ্রামের শিমুল, পাবনা বেড়া উপজেলার সন্ন্যাসপাড়ার মনোয়ার হোসেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চাপুভেলা গ্রামের রিফাত আহমেদ, নাটোর সদর উপজেলার তালারদিয়া গ্রামের মোহাম্মাদ আলী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইনসপেক্টর রকিবুজ্জামান জানান, তিন কিশোর নিহতের ঘটনায় নিহত পারভেজের বাবা রোকা মিয়া শুক্রবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। প্রাথমিক তদন্তে কেন্দ্রে বন্দিদের মারপিট ও হত্যার ঘটনায় ১২জনকে শনাক্ত করা হয়। এরমধ্যে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, সাইকোসোশ্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর শাহানুর আলম, কারিগরি প্রশিক্ষক ওমর ফারুককে শনিবার গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এবং নির্যাতনের কাজে সহযোগিতা করা কেন্দ্রের বন্দি সাতকিশোরকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখাতে আদালতে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করায় ওই সাত কিশোরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ আগস্ট দুপুর থেকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ১৮ বন্দির ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এতে তিন বন্দি কিশোর নিহত হয়। এছাড়া আহত ১৫ জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
Discussion about this post