ধামরাই প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নে গাজীখালী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে লাখ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি বালু চুরির মামলায় মো. শামীম হোসেন ও শরীফ হোসেন নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রেফতার দুজন সরকারি বালু চুরি করে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন। গ্রেফতার মো. শামীম হোসেন উপজেলার কাওয়ালীপাড়া গ্রামের মো. আলতাফ হোসেনের ছেলে ও মো. শরীফ হোসেন পাবরাইল গ্রামের মো. আবদুল মজিদের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গাঙ্গুটিয়া ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাদের মোল্লাকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়েই গাজীখালী নদীতে বালু চুরির মহোৎসবে মেতে ওঠেন গ্রেফতার মো. শামীম হোসেন ও শরীফ হোসেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গাজীখালী সেতুর তলদেশ, খান পল্লী ও চেয়ারম্যান পার্কের কাছে দুটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে লাখ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি বালু চুরি করে আসছিল শামীম ও শরীফ সিন্ডিকেট।
পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুশুরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসহাক ভূঁইয়া এ ব্যাপারে বাদী হয়ে গত শনিবার ধামরাই থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি চুরির মামলা করেন। এ মামলায় ওই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিরা হলো– ভাবনহাটি গ্রামের মোহাম্মদ মীর হোসেন মাস্টারের ছেলে মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকী নান্নু, কাছিম উদ্দিনের ছেলে রিফাত হোসেন (৪০) ও মৃত হাসেম আলীর ছেলে মো. নজরুল ইসলাম।
ধামরাই থানার এসআই আরাফাত হোসেন জানান, কাওয়ালীপাড়া এলাকায় গাজীখালী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু চুরি করে আসছিল। কুশুরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসহাক ভূঁইয়া এ ব্যাপারে মামলায় করলে শামীম হোসেন ও মো. শরীফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের মোল্লা ফুলের মালা পরানোর কথা স্বীকার করলেও নদী থেকে বালু চুরির ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
Discussion about this post