রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ প্রকল্পের একটি ভবনের আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী অস্বাভাবিক দামে কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাজিন কনস্ট্রাকশনের মালিক ঠিকাদার শাহাদাত হোসেনকে নিম্ন আদালতের দেয়া জামিন কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবীন রাব্বানী দীপা। অন্যদিকে শাহাদাতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তার জামিন বাতিলে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।এর আগে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, ২৭ আগস্ট পাবনার আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। দুদক এ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করে তার জামিন বাতিলের আবেদন করেছি। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর পাবনায় এ ঠিকাদারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের পাবনা কার্যালয় দুটি আলাদা দুর্নীতির মামলা করে। যেখানে বলা হয় রূপপুর প্রকল্পে আসবাবপত্র সরবরাহে আস্বাভাবিক দর দিয়ে তারা প্রায় ১৬ কোটি টাকা তছরূপ করেছে। মামলাটি তদন্ত করছে দুদকের পাবনা কার্যালয়।দুদক পাবনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এর আগে গত ২৭ আগস্ট শাহাদাতের আইনজীবীরা পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তার জামিনের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ মকবুল আহসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। ওইদিন তড়িঘড়ি করে জামিনের আদেশ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠালে রাতেই কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান।
উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্পে একটি বালিশ কিনতে ৫৯৫৭ টাকা এবং তা ফ্ল্যাটে তুলতে আরও ৭৬০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এছাড়া একটি চুলা ক্রয়ে ৭৭৪৭ টাকা এবং তা ফ্লাটে তুলতে ৬৬৫০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। একটি ইস্ত্রি কিনতে ৪১৫৪ টাকা এবং তা তুলতে ২৯৪৫ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এভাবে রূপপুর প্রকল্পে কেনাকাটায় পুকুর চুরির সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে দুদক তদন্ত শুরু করে। এসব ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে দুদক।
Discussion about this post