বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষানবীশ আইনজীবী পরিষদের পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) আন্দোলনের ১০০ তম দিন উপলক্ষে ২০১৭ এবং ২০২০ সালের এম সি কিউ উত্তীর্ণ শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের ভাইভার তারিখ ঘোষণার দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমরণ অনশন এবং মহাসমাবেশের প্রথম দিন পালিত হয়েছে। তাদের এই মহাসমাবেশ ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
প্রেসক্লাবে আজকে তাদের দাবীর স্বপক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা বার থেকে প্রায় দুই হাজার শিক্ষানবীশ আইনজীবী মহাসমাবেশে যোগদান করেণ।
প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে ‘তারিখ চাই,তারিখ চাই;ভাইভার তারিখ চাই’ শিক্ষানবীশদের এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে যায় প্রেসক্লাব।
কোরআন তেলওয়াত এবং জাতীয় সংগীত গেয়ে মহাসমাবেশ শুরু হয়। মহসমাবেশে শিক্ষানবীশরা তাদের দাবীর স্বপক্ষে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তৃতা দেন। এই সময় তারা আইনমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেণ। উক্ত মহাসমাবেশে কেন্দ্রীয় নেত্রিবৃন্দ সহ দেশের বিভিন্ন জেলা বার থেকে আসা শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা বক্তৃতা দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা বিডি ল নিউজকে বলেন, আমরা অত্যন্ত যৌক্তিক এবং মানবিক দাবী নিয়ে আজকে ১০০ তম দিন অতিবাহিত করছি। দীর্ঘ ৩ বছর আমরা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করেছি কিন্তু পরীক্ষা হয়নি। নিয়মিত পরীক্ষা হলে আমরা আজ রাজপথে থাকতাম না। আমরা নিরুপায়। আমাদের জীবন যৌবন সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। আজকে প্রায় ৪ বছর হয়েছে বার কাউন্সিল লিখিত পরীক্ষা নিতে পারেণি।

এমতাবস্থায়,আমরা এখন লিখিত পরীক্ষা দিয়ে আবার ২ বছর সময় নষ্ট করতে চাইনা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ আরও একটি ক্যালেন্ডার ইয়ার শেষ হয়ে যাবে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা আছে প্রতি ক্যালেন্ডার ইয়ারে এনরোলমেন্ট প্রসেস সম্পন্ন করা অথচ বিগত ৫ বছরে মাত্র একটি এনরোলমেন্ট প্রসেস সম্পন্ন হয়েছে। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এইচ এস সি পরীক্ষায় সেশন জটের কথা চিন্তা করে ১৩ লক্ষ শিক্ষার্থীদের অটো পাশ দিয়েছেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
কিন্তু আমাদের একটা প্রফেশনাল সনদ পাওয়ার জন্য কত বছর অপেক্ষা করতে হবে?
আমরা তো অটো পাশ চাচ্ছিনা। আমরা সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা এম সি কিউ তে ৯০০০০ এর ভিতর মাত্র ১৩০০০ পাশ করেছি। আমরা বার কাউন্সিলের বিজ্ঞ এনরোলমেন্ট কমিটি, মাননীয় আইনমন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই যেহেতু আমাদের প্রায় ৪ বছর পরীক্ষা হয়নি সেহেতু লিখিত পরীক্ষা নিয়ে আর আমাদের সময় ক্ষেপন না করে আমাদের ভাইভা নিয়ে তালিকাভুক্তি করে বেকারত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে আইনজীবী হিসেবে সমাজ এবং রাষ্ট্রের সেবা করার সুযোগ দিবেন।
উল্লেখ্য,শিক্ষানবীশরা বিগত ৭ জুলাই থেকে অদ্যাবধি লিখিত পরীক্ষা মওকুফের দাবীতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আন্দোলনের মুখে বার কাউন্সিল ২৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করলেও ২০ সেপ্টেম্বর অনির্দিষ্ট কালের জন্য লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ দেয়।
Discussion about this post