এখন থেকে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রোমেন্ট (এনআই) অ্যাক্ট-১৮৮১-এর ১৩৮ ধারার অধীনে চেক প্রতারণার মামলার প্রাথমিক শুনানি বা বিচার হবে শুধু যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। আর এই আদালতের রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করা যাবে।
একই সঙ্গে যেসব মামলা জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন তা ১৫ দিনের মধ্যে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আদালতের এই নির্দেশনা দেশের সব জেলা ও দায়রা জজ আদালতকে অবহিত করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে এ নির্দেশ দেন। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার এএএম জিয়াউর রহমান নামের এক ব্যক্তির করা এক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ রায় দেন। আদালতে আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মাজেদুল কাদের ও ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক।

রায় সম্পর্কে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব সাংবাদিকদের জানান, ‘বর্তমান এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ নম্বর ধারার অধীনে চেক প্রতারণার মামলার শুনানি হয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। কোন আদালতে শুনানি হবে তা নির্ধারণ করে দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। যুগ্ম জেলা জজ আদালতের কোনও আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। আর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত কিংবা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আদেশ ও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হচ্ছে হাইকোর্টে। ফলে এ ধরনের মামলা নিয়ে বিচারিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, ‘তাই একটি নির্দিষ্ট আদালতে চেক ডিজঅনারের মামলার শুনানি এবং একটি নির্দিষ্ট আদালতে আপিল দাখিল হওয়া প্রয়োজন। এজন্য সেসব নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেছেন। হাইকোর্ট এই রায়ের ফলে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে। আবার বিচারিক বিশৃঙ্খলা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।’
Discussion about this post