ধর্ষণ মামলার দুই আসামির জবানবন্দি একই সময়ে রেকর্ড করায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সরাফুজ্জামান আনছারীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১১ নভেম্বর মামলার কেস ডকেটসহ তাকে আদালতে সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ওই ধর্ষণ মামলার এক আসামি মো. শাহাদতের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির সময় হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুল জলিল।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর রাতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় প্রাইভেটকারের মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হন মামলার বাদী। এ ঘটনায় পরদিন ১৩ অক্টোবর ভাটারা থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ মামলার তিন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন-শাহাদত হোসেন, মো. কাউছার হৃদয় ও মো. নবীরুল ইসলাম। এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরাফুজ্জামান আনছারী বেলা ১২টায় দুই আসামি শাহাদত হোসেন ও মো. কাউছার হৃদয়ের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গত বছর ১৯ জুন তদন্ত শেষে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ মামলায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামিদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(৩) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
চলতি বছরের ১৮ আগস্ট আসামি মো. কাউছারকে এক বছরের জামিন দেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় শাহাদত হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে একই সময়ে দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের বিষয়টি ধরা পড়ে।
Discussion about this post