ধর্ষণের ঘটনা সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করলে তাকে ‘ফৌজদারি অপরাধ’হিসেবে কেন গণ্য করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (২১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান। সঙ্গে ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষ থেকে রিটকারী আইনজীবী শাহিনুজ্জামান শাহিন।

এর আগে, গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আসকের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়। রিটে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে গত ১০ বছরে সারাদেশে থানায় কতগুলো ধর্ষণের মামলা দাখিল হয়েছে এবং কতগুলো মামলা বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে, তার তথ্য জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া ধর্ষণের মামলা রুদ্ধদ্বার আদালতে বিচারের বিধান কার্যকরেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিট আবেদনে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি, বিচার শুরুর পর থেকে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একটানা বিচার চলার বিধান ও আদেশ কার্যকরেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের মামলায় আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে গত ১৩ অক্টোবর বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান ইয়াদিয়া জামান। নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ না দেখে রিট আবেদন করা হয়।
Discussion about this post