বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে মিন্নিকে দেওয়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমত ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে মিন্নির পক্ষে শুনানিতে আছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্ন ও মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে খালাস প্রদানের রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। এছাড়া চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জন অভিযুক্তকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এছাড়া বেকসুর খালাস প্রদান করা হয় এ মামলার অপর চার আসামিকে।বর্তমানে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন মিন্নি।
৪ অক্টোবর মিন্নিসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। আইনগতভাবে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত।
প্রসঙ্গত, রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দু’টি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং বন্ড গ্রুপ। এই বছরের ২ জুলাই মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ক্রসফায়ারে নিহত হয়। এরপর রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিকে আসামি দেখানো হয়।
গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
Discussion about this post