ডেস্ক রিপোর্ট
পি কে হালদারকে (প্রশান্ত কুমার হালদার) দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা করা হয়েছে তার প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হতে পারে আজ। বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুদকের আইনজীবী এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করবেন।
দুদকের আইনজীবী জানান, পি কে হালদারের মামলার সর্বশেষ অবস্থা, তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। ১৮ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নজরে নিয়ে আদালত আদেশ দিয়েছিলেন।গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, ঢাকা জেলা প্রশাসককে ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। পরবর্তী আদেশের জন্য আদালত আজ (২ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেছিলেন।

দুদকের আইনজীবী বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশ মোতাবেক একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি, আদালতে সেটা উপস্থাপন করা হবে।দেশে ফিরতে পি কে হালদার আদালতের কাছে আবেদন করতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) কাছে একটি পত্র দিয়েছিলেন। এরপর কোম্পানিটি আদালতে আবেদন করে। ৭ সেপ্টেম্বর আদালত বলেছিলেন, তিনি কখন কিভাবে আসবেন তা জানাতে। পরে ২০ অক্টোবর একটি আবেদন করে কোম্পানিটি। যেখানে নির্বিঘ্নে দেশে আসার কথা বলা হয়েছে এবং ২৫ অক্টোবরের একটি টিকিটের কপিও সংযুক্ত করা হয়েছিল।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট তার দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার নিশ্চিত করতে আদেশ দিয়েছিলেন। পরে তার গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠাতে বলা হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক, ইমিগ্রেশন অথরিটিরি চিফ ও দুদকের প্রতি এ নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু ২৪ অক্টোবর আইএলএফএসএল-এর আইনজীবী দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে জানিয়েছেন পি কে হালদার ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরছেন না।
এদিকে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে সব মামলার নথি চেয়েছেন আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।ইতোমধ্যে কিছু তথ্য সরবরাহ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তার জন্য আবেদন করে দুদক। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে দুই বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি এক আদেশে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
Discussion about this post