নিজস্ব প্রতিবেদক
অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙা ও অন্যায়-অপকর্মে যারা জড়িত, যারা অন্যায়-অবিচার এবং দেশদ্রোহিতা করবে বা সম্পৃক্ত হবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।’
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে মৌলবাদীদের বাধা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের মূল গেটের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘তাদের প্রত্যেককে আমরা বিচারের সম্মুখীন করব। প্রত্যেককে আমরা এই দেশে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করব। তাদের বিচার হবেই হবে ইনশাআল্লাহ।’
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘আমরা জানি ’৭১-এর পরাজিত শক্তি যারা ’৭৫-এ চেষ্টা করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে, তারা চেষ্টা করেছিল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বাংলাদেশকে মুছে দিতে। তারা সেদিন সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সফল হয়নি, আজকে তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে আঘাত করছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা জানে বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি হচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্র। তাই তারা আমাদের সংবিধানের ৭ (ক) অনুচ্ছেদকে সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করছে। আমাদের সংবিধানের ‘ক’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতির অবমাননা প্রদর্শিত হলে সেটা হবে দেশদ্রোহিতার শামিল। তারা এই দেশকে ভালোবাসে না, এই দেশের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। তারা এসব অন্যায়-অপকর্ম করছে।’
এতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনির, অ্যাডভোকেট লায়েকুজ্জামান মোল্লা, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ, মো. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহিদী, অ্যাডভোকেট আজহার উল্লাহ ভূঁইয়া প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বারের সাবেক সম্পাদক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মানবাধিকার বিষয়ক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মোখলেসুর রহমান বাদলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা দেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার।
Discussion about this post