ডেস্ক রিপোর্ট
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চার খুনির মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের খেতাব বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি আজ। শুনানি ‘নট টুডে’ (আজ নয়) করে মঙ্গলবারের (১৫ ডিসেম্বর) জন্য দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। তিনি জানান, আজ মামলাটি দুপুরে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। আদালত শুনানি না করে আগামীকালের জন্য নির্ধারণ করেছেন।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাউয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।গত ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল কাউয়ুম খান এ রিট দায়ের করেন। রিটে রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

রিটে বঙ্গবন্ধুর খুনি শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নুর চৌধুরী, এএম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দীন ওরফে মুসলেম উদ্দীন ওরফে হিরন খান ওরফে মুসলেম উদ্দিন খানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল চাওয়া হয়। রিটে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও এই চার আসামিকে বিবাদী করা হয়েছে।আবেদনে বলা হয়, ১৯৭৩ সালে সাতজনকে বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৮ জনকে বীরউত্তম, ১৭৫ জনকে বীরবিক্রম ও ৪২৬ জনকে বীরপ্রতীক উপাধি দেয়া হয়। একই সালের ১৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে গেজেট জারি করা হয়। এর মধ্যে নুর চৌধুরী বীরবিক্রম, শরিফুল হক ডালিম বীরউত্তম এবং রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনকে বীরপ্রতীক খেতাব দেয়া হয়।
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দণ্ডিত এ চার আসামির খেতাব বাতিলে এক ও দুই নম্বর বিবাদীর নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদের অব্যাহত থাকা এই খেতাব ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ রকম খেতাব কেড়ে নেয়ার নজির আছে। যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের নজির আবেদনে বলেছি। বাংলাদেশেও নজির আছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দীর্ঘদিন পর আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি রাতে পাঁচ খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ ও এ কে এম মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এছাড়া গত ১১ এপ্রিল রাতে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়।
তবে এখনো পলাতক পাঁচ খুনির মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নুর চৌধুরী কানাডায় রয়েছেন বলে সরকার নিশ্চিত হয়েছে। খন্দকার আবদুর রশিদ, শরীফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন কোন দেশে অবস্থান করছেন সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার।
Discussion about this post