ডেস্ক রিপোর্ট
রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম টেকনিক্যাল মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় তরুণ অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর মৃত্যুতে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ঘটনার দায় নিরূপণে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আইনজীবী আনিচুর রহমান।তিনি বলেন, গতকাল রোববার (১০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আশার মায়ের পক্ষে এই রিট আবেদন করা হয়েছে। শিগগিরই হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তরুণ অভিনেত্রী আশা চৌধুরী। পরদিন ৬ জানুয়ারি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ‘অভিনেত্রী আশার মৃত্যুর ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক কারাগারে’ শীর্ষক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিট করা হয়।
আবেদনে দুর্ঘটনার জন্য কারা দায়ী তা নিরূপণে স্বাধীন তদন্ত কমিটি করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একইসঙ্গে আশার পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আইনজীবী আনিচুর রহমান জানান, রিটে সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব (সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র, উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিএমপি কমিশনারসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

প্রায় চার বছর আগে টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে বিনোদন জগতে আসেন আশা। অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নিতে চেয়েছিলেন। শিল্পী হিসেবে বিটিভির তালিকাভুক্তও হয়েছিলেন। চার বোনের মধ্যে আশা ছিলেন সবার বড়। ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজিতে (বিইউবিটি) আইন বিভাগে সপ্তম সেমিস্টারে পড়াশোনা করতেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা।
রাজধানীর দারুস সালাম টেকনিক্যাল মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় অভিনেত্রী আয়েশা আক্তারের (আশা) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় মোটরসাইকেলের চালক শামীম আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ জানুয়ারি বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৪ জানুয়ারি সোমবার রাত ২টার দিকে দারুস সালাম টেকনিক্যাল মোড়ে একটি ট্রাকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আশা। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। পরদিন মঙ্গলবার আশার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে মোটরসাইকেলচালক শামীম আহমেদকে আসামি করে দারুস সালাম থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহান আহমেদ বলেন, শামীম আহমেদ আশার পূর্বপরিচিত। সেদিন তিনি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। ঘটনার পর তাকে গ্রেফতার করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Discussion about this post