নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোটের তারিখ ১০ (বুধবার) ও ১১ (বৃহস্পতিবার) মার্চ সকাল ১০.০০ টা থেকে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত। নির্বাচনের দিন এবং ভোট গণনার দিন সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য ছাড়া অন্যদের নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিনিয়র সদস্যরা সরাসরি ভোট প্রদান করতে পারবেন। ভোট কেন্দ্রে মোবাইলসহ প্রবেশ নিষেধ। সকলকে নির্বাচন বিধি মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।বিচারপতি এ,এফ,এম, আবদুর রহমান , আহবায়ক ,নির্বাচন সাব-কমিটি ২০২১-২২।
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে ১৪ পদে ৫১ প্রার্থী, ভোট গ্রহন শুরু আগামী ১০ (বুধবার) ও ১১ (বৃহস্পতিবার) মার্চ সকাল ১০.০০ টা থেকে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত।
আগামী ১০ ও ১১ মার্চ ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।নির্বাচনে ১৪ পদের বিপরীতে চূড়ান্তভাবে ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান, বিচারপতি (অব.) এ এফ এম আবদুর রহমান জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই এবং প্রত্যাহার শেষে ৫১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৪ পদের মধ্যে ৭টি সম্পাদকীয় পদ এবং ৭টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদ রয়েছে। ৭টি সম্পাদকীয় পদের বিপরীতে ২৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এর মধ্যে সভাপতি পদে ৫ জন, দুটি সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে ৬ জন, সম্পাদক পদে ৪ জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ৪ জন এবং ২ টি সহ-সম্পাদক পদের বিপরীতে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদের জন্য ২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
গত রোববার আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে কে কী করতে চান, তার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আব্দুল আলীম মিয়া জুয়েলকে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

আর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ তাদের প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করেছে। তারা সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও সম্পাদক পদে (বর্তমান সম্পাদক) ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নির্দলীয় হলেও অঘোষিতভাবে এবারও সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের দুটি আলাদা প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। দুই দলের সমর্থকদের মধ্য থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীও হয়েছেন অনেকেই।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে আরেকটি প্যানেলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট ওয়ালিউর রহমান খান এবং সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদও নির্বাচন করছেন।
এছাড়া লাল প্যানেল নামে আরেকটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়। ওই প্যানেলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট কে এম জাবির ও সম্পাদক পদে মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এর বাইরেও সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলী আকন্দ প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে সাত হাজার ৭২২ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
Discussion about this post