নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
আজ উত্তর বঙ্গের অধিকাংশ আদালত প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ আইনজীবীরায় অনলাইনের ব্যবহার সম্পর্কে দুর্বল এহেনও পরিস্থিতিতে অধিকাংশ আইনজীবীরায় একচুয়াল কোর্টের মাধ্যমে আদালতে মামলা শুনানী করতে ইচ্ছুক।
আইনজীবীরা বলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার দ্বিতীয় ডেউয়ে আদালত প্রাঙ্গণ বন্ধ ঘোষণা করার পরেও ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে আদালতে মামলা শুনানি করার জন্য আজও পর্যন্ত কোন প্রসিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা হয় নাই।
এহেনও পরিস্থিতি আদালতে মামলা শুনানি করতে তৈরী হচ্ছে নানা রকম বিরম্বণা।
অধস্তন আদালতের আইনজীবীরা এই বিষয়ে বার এসোসিয়েশন এবং বার কাউন্সিলসহ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বরাবর করােনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ সময়ে লক-ডাউন চলাকালীন অধস্তন আদালত সমূহ সীমিত আকারে শারীরিক উপস্থিতিতে/একচুয়ালভাবে কোর্ট পরিচালায় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে জোরালো আবেদন করেছেন ।

গতকাল রাজশাহী এ্যাডভোকেট বার এসোসিয়েশন মহামান্য প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বরাবর করােনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ সময়ে লক-ডাউন চলাকালীন অধস্তন আদালত সমূহ সীমিত আকারে শারীরিক উপস্থিতিতে/একচুয়ালভাবে পরিচালায় নিম্ন লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে একটি আবেদন করেছেন।
করােনাকালীন লক-ডাউন চলাকালীন বিচার প্রার্থী ও বিজ্ঞ আইনজীবীদের স্বার্থে নিম্ন আদালত পরিচালনার জন্য নিম্ন লিখিত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে আবেদন পত্রে ১০ টি নির্দেশনা মুলক সুপরামর্শ উল্লেখ করেন।
১) বাংলাদেশের সকল আইনজীবী বার সমিতি তাদের সেলেবল আইটেম বিক্রি করে বার ও আইনজীবীগনের জন্য নিজস্ব তহবিল গঠন করে থাকে। বার সমিতি সমূহের তহবিল গঠনে সরকার বা কোন সংগঠন আর্থিক অনুদান দেয় না। এই কারনে লক-ডাউন শেষে স্বাস্থ্য বিধি গ্রহণ করে নিয়মিত অথ্যাৎ একচুয়াল/শারীরিক উপস্থিতিতে আদালত চালু রাখা
আবশ্যক।
২) দেওয়ানী মােকদ্দমায় বাদী ও বিবাদী পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। ইতােমধ্যেই সকল এজলাসে কাঁচের বেষ্টনী তৈরী করা হয়েছে।
৩) লক-ডাউন সময়ে আসামীদের হাজিরা/সময়ের আবেদন বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে।
৪) আদালতের এজলাস কক্ষে একই সময়ে সীমিত সংখ্যক বিজ্ঞ আইনজীবী মামলা পরিচালনা/শুনানীর জন্য উপস্থিত
থাকতে পারেন।
৫) আদালতে প্রবেশ করার আগে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং বিচার প্রার্থীদের এজলাস কক্ষে বিনা প্রয়ােনে
প্রবেশ সীমিত করা যেতে পারে।
৬) এজলাসে ডায়াসের সামনে ১-২ জন বিজ্ঞ আইনজীবী মামলার শুনানীতে অংশগ্রহন করতে পারেন।
৭) আপিল/রিভিশন/মিসকেস ফাইলিং তামাদি থাকলেও ফাইলিং হতে পারে এবং অনানী পরে হতে পারে। তবে জরুরী
ক্ষেত্রে জামিন/Injuicntion শুনানীর সুযােগ দেওয়া যেতে পারে।
৮) অস্থায়ী জামিন/নিষেধাজ্ঞা অটো এক্সটেনশন করা যেতে পারে।
৯) সি.আর, মামলা ফাইলিং বিষয়ে বাদী ও তাহার নিযুক্তীয় বিজ্ঞ আইনজীবী সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেন।
১০) আসামীর ডকে অল্প সংখ্যক আসামী উপস্থিত থাকতে পারেন।
এহেনও অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট পূর্বের ন্যায় এবারের বর্তমান জরুরী অবস্থা/সাতদিনের লকডাউনের পূর্বে থেকেই ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা করে আসছেন।
Discussion about this post