ডেস্ক রিপোর্ট
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১ জুলাই থেকে সারাদেশে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকাজ চলছে। তবে এই কার্যক্রম চলছে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ঘরে বসেই।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পূর্ণাঙ্গরূপে বিচারকাজ পরিচালনা করেন। আর সেখানে ভার্চুয়াল বেঞ্চের বিচারপতি ও সংশ্লিষ্ট মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে শুনানিতে অংশ নেন।

শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপত্র ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, আপিল বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ বাসা হতে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এবং তার অফিসের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলগণ নিজ নিজ বাড়ি হতে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীগণ তাদের নিজ নিজ গৃহ হতে শুনানিতে সংযুক্ত ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ তারাও নিজ নিজ বাড়ি হতে সংযুক্ত হয়েছেন। এদিন আপিল বিভাগে ২টি ডেথ রেফারেন্স সংক্রান্ত জেল পিটিশন মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
এর আগে সারাদেশে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।এরপর সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সাতদিনের লকডাউনে (বিধিনিষেধ) সীমিত পরিসরে চলবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচার কাজ।অপর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সীমিত পরিসরে চলবে।
রিট ও দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্ত একটি করে মোট তিনটি বেঞ্চ ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে অতি জরুরি বিষয়ে শুনানি করবেন। তবে বিচারকসহ সবাইকে নিজ বাসস্থান থেকে যুক্ত হতে হবে।
তবে এ সময় আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। বিচারপতিরা, সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবী ও অন্যান্য কর্মকর্তারা নিজ বাসা থেকে ভার্চুয়ালি শুনানি করবেন।
এ ছাড়াও সীমিত আকারে ভার্চুয়ালে হাইকোর্টের তিনটি বেঞ্চে চলবে বিচার কাজ। দেশের অধস্তন সব আদালত বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি বিষয় শুনানির জন্যে ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্ট চলবে।
তৃতীয় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ থাকলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সব জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট, মহানগর এলাকায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
Discussion about this post