“Work at Home”- কন্সেপ্টটা বিচার বিভাগে কার্যকর হয় নি!
আমার ৭ বছর বয়সের মেয়ে প্রতিদিন সকালে উঠে অনলাইনে ক্লাস করে। গত একবছরে আমার ৭ বছরের মেয়ে অনলাইনে ক্লাস করতে করতে এক্সপার্ট হয়ে গেছে। তার পাশে কাউকে বসে থাকতে হয় না।
সে নিজে নিজে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে। সুন্দরভাবে ক্লাস করছে। সরকার লকডাউন দেক আর না দেক তাদের কাজকর্ম ঠিকঠাকমতো চলছে।
আমার যেসকল বন্ধুরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে তারাও এই লকডাউনের মধ্যেও কাজ করছে। একবারে সকল কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায় নাই।
এখন আমি বেকার কোন কাজ নাই। শুয়ে শুয়ে আমার মেয়ের ক্লাসের পড়া শুনি। গত একবছরে work at home কন্সেপ্ট ডেভলপ করেছে। অথচ আমাদের আদালতের গত একবছরে কোন উন্নতি হয় নাই। ৩৮ টির মতন কোর্ট virtually চলছিল।
হঠাৎ করে এই কোর্ট গুলা বন্ধ করে দেওয়ার কোন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। এই কোর্টগুলা পরিচলনা করতে কোন জজ সাহেবদের বাসার বাহিরে যাওয়ার দরকার ছিল না। work at home এর কন্সেপ্টটা এখানেও কার্যকর করার সুযোগ ছিল।
আমাদের ডাক্তার, পুলিশ, প্রশাসনের কর্মকর্তারা করোনার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ আসামি ধরছে, প্রশাসনের কমকর্তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। কিন্তু ভুক্তভোগীরা কোন বিচার পাচ্ছে না।
যে লোক বিনা বিচারে দিনের পর দিন জেলে আছে সে কি ন্যায় বিচার পেল??? তার মানবাধিকার কোথায় গেল ???
আর আমার মতো যেসকল আইনজীবী যাদের আর কোন আয় করার সুযোগ নাই, তাদের জন্যে দৈনন্দিন খরচের টাকা যোগাড় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
পরিশেষে বলতে চাই, আমার ৭ বছরের মেয়ে যা পারছে তা আমরা এত উচ্চশিক্ষিত হয়েও করতে পারি নাই। এই ব্যর্থতা আমাদের।
ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
Discussion about this post