ডেস্ক রিপোর্ট
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইন কমিশন এখন পর্যন্ত ১৬০টির বেশি সুপারিশ, প্রতিবেদন ও মতামত সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। যার অনেকগুলো পরে আইনে পরিণত হয়।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইন কমিশনের রজতজয়ন্তী উদযাপন ও আইন দর্পণ স্বারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল শোষণ ও বঞ্চনামূক্ত, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের নাগরিকের জন্য আইনের শাসন ও সুবিচার নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যেই স্বাধীনতার মাত্র এক বছরের মধ্যে তিনি বাংলাদেশকে একটি আধুনিক সংবিধান উপহার দিয়েছেন। যার মাধ্যমে এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল সংবিধান প্রণয়ন করেই ক্ষান্ত হননি। তিনি সদ্য স্বাধীন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একের পর এক বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছেন। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে যে আইনি কাঠামো প্রয়োজন, তিনি শুধু তার ভিত নির্মাণই করে দেননি, তার কাঠামোও তৈরি করে গেছেন।
সমাজের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথযাত্রা অব্যাহত রাখতে আইনের গবেষণার বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রচলিত আইন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যুগোপযোগী সংস্কার এবং ক্ষেত্রমত নতুন আইন করার উদ্দেশ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ করার জন্যই আইন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আইন কমিশন তার উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই কমিশন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলে সরকারের নিকট সুপারিশ করে এবং জাতির পিতার খুনিদের বিচার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি করোনাকালে পক্ষগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সারাদেশের আদালত কার্যক্রম চালু রাখতে আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০ প্রণয়নে কমিশনের সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন- বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মঈনুল কবীর ও আইন ও বিচারবিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার।
তিনি বলেন, আইন গবেষণার ক্ষেত্রে কমিশনকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে ইতোমধ্যে কমিশনের নতুন জনবল কাঠামো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা সবাই যদি সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি তবেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
Discussion about this post