ডেস্ক রিপোর্ট
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পোশাক কারখানার এক নারী কর্মী অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই নারীর সাবেক স্বামীর ছোড়া অ্যাসিডে মুখ, গলা ও হাত ঝলসে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি উপজেলার ধানকোড়া ফেরাজিপাড়া গ্রামে। তাঁর নাম সাথী আক্তার (১৯)। তাঁকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গৃহবধূর মা জুলেখা বেগম বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে মানিকগঞ্জ সদরের বেতিলা গ্রামের নাঈম মল্লিকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সাথীর বিয়ে হয়। মাদকসেবী হওয়ায় নাঈম ঠিকমতো কাজ করতেন না। যৌতুকের জন্য সাথীকে মারধর করতেন। পরে প্রায় চার মাস আগে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর সাথী ঢাকার ধামরাইয়ের একটি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন।
জুলেখা বেগম অভিযোগ করেন, সম্প্রতি নাঈম সাথীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। শুক্রবার কারখানা বন্ধ থাকায় সাথী বাড়িতেই ছিলেন। রাত মা ও বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় একটার দিকে ঘরের ভাঙা দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে নাঈম সাথীকে অ্যাসিড ছোড়েন। রাতেই সাথীকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আজ শনিবার দুপুরে নাঈম মল্লিকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও চিকিৎসক আরশাদ উল্লাহ বলেন, অ্যাসিডে সাথীর মুখমণ্ডল, শ্বাসনালি ও দুই হাতের অধিকাংশ ঝলসে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামা লাল মিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত নাঈমকে আটকের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post