বিডি ল নিউজঃ আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী আয়োজিত ‘শহীদ জিয়া ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অর্বাচীন বালক’ বলেছেন। তিনি বলেন, ‘একটি শিশু বলে কিনা স্বৈরাচার, বিএনপির জন্ম স্বৈরাচারে। নতুন প্রজন্মের নতুন নেতা জয় সাহেব ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক আর্মির তত্ত্বাবধানে যার জন্ম; যিনি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন- তিনি বলেন কিনা জিয়াউর রহমানের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে মুছে দিতে হবে। তাদের নেতাদের মতোই বলতে চাই- অর্বাচীন বালকের মত কথা বলা বন্ধ করুন। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করলে ইতিহাস অস্বীকার করা হবে।’ জয়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস জেনে কথা বলেন- এদেশের মানুষ পছন্দ করবে। আওয়ামী লীগ নেতাদের মত কথা বললে এদেশের মানুষের নতুন প্রজন্মের নতুন নেতা হিসেবে আপনাকে মেনে নিতে কষ্ট হবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জয়কে সরকার থেকে ২ লাখ ডলার দেওয়া হয়। লতিফ সিদ্দিকীর চাকরি গেছে ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য নাকি জয়ের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য জাতি তা জানতে চায়।’
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি আফম ইউসুফ হায়দার, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, চাষী নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, জাকির হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন।
এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে সকালে জাসাসের সাবেক সভাপতি ওয়াসিমুল বারী রাজিবের ১০তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর জাসাস। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবেদীন ফারুক। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ডা. আরিফুর রহমান মোল্লা। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, হাবীবুর রহমান হাবীব, জাসাস নেতা এম এ মালেক, বাবুল আহমেদ, অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ লিটন প্রমুখ।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৫ আগস্ট ঘটনার জন্য অনেকেই দায়ী করেন। আপনি তো তখন রক্ষ্মীবাহিনীর সম্বনয়কারী ছিলেন। আপনি কী করেছেন? লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছেন। আপনারা তো শেখ মুজিবের হত্যার প্রতিবাদে একটি মিছিলও বের করতে পারেননি। ধন্যবাদ জানাই কাদের সিদ্দিকীকে তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি উদার মাইন্ডের দল। আমাদের হাতে অস্ত্র নেই। আমরা জনগণের ম্যান্ডেড নিয়ে চলি। আমাদের ভূলক্রটি থাকতে পারে। জনগণই সরকারের বিরুদ্ধে জবাব দেবে।’
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপি বড় দল। এ দল গ্রামেও ছড়িয়ে আছে। আমরা গ্রামে যাচ্ছি, গ্রামের মানুষ বলছে এই দখলদার সরকার কবে যাবে? হতাশ হওয়ার কারণ নেই। সুদিন আসবেই। সূর্য উঠবেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতন্ত্র ও শহীদ জিয়া আলাদা করার কিছু নেই। বাংলাদেশের গণতন্ত্র মানে শহীদ জিয়া। যারা গণতন্ত্রের কথা মুখে তুবড়ি ছোটান। তারাই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। আর গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। এর মধ্যে এতটুকু খাদ নেই।’
তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়া ও মুক্তিযুদ্ধ এই দুটিকে আলাদা করা যাবে না। শহীদ জিয়া ডাক দিয়েছিলেন বলেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। এটাই ঐতিহাসিক সত্য। জিয়াকে কটূক্তি করে, নাম মুছে দিতে চায় এটা কোনো দিনই পারবে না। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে জিয়ার নাম ততদিন থাকবে।’
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এক সঙ্গে চলে না।’
৫ জানুয়ারি নিবার্চন নিয়ে এইচ টি ইমামের বক্তব্যে ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৫ জানুয়ারি কিভাবে নিবার্চন করেছেন, এই তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন এইচ টি ইমাম। আমি তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। সত্য কথা প্রকাশ করার জন্য। তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতারা নাকি নাখোশ।’




Discussion about this post