কারাগারে কারা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় নারী বন্দিদের দিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসা করানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালী কয়েদিরা খোদ জেল কর্তৃপক্ষকে অর্থের বিনিময়ে ওই অবৈধ যৌন সুবিধা নিয়ে আসছেন ভারতের একটি কারাগার।
কারাগারে বন্দি দুজন নারীর একটি চিঠিতে এ ঘটনা জনসম্মুখে এসেছে। চিঠিতে বলা হয়, ব্যাঙ্গালুরুতে পারাপানা অগ্রহরা সেন্ট্রাল প্রিজনে নারী বন্দিদের ব্যবহার করা হতো বাধ্যতামূলক যৌনকর্মে। এজন্য পুরুষ বন্দিদের থেকে জেল ওয়ার্ডেনরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নিতেন।
ওই জেলের অভিযোগ বাক্সে ওই চিঠিগুলো পোস্ট করেছিলেন নারী বন্দিরা, যা পৌঁছায় এক বিচারকের হাতে। তিনিই এরপর কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে তা পাঠিয়ে দেন।
চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়, জেল কর্তৃপক্ষের কথা না মানলে বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হতো না নারী বন্দিদের। প্যারোলে মুক্তির ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করা হবে, এমন হুমকি দেয়া হতো। প্রবল সমালোচনার মুখে রাজ্যের শিশু ও নারীকল্যাণ দফতরকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটক সরকার। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে বলা হয়েছে। কারাগারের সহকারী ইন্সপেক্টর জেনারেল ভিএস রাজা এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, সমগ্র জেল সিসিটিভির আওতাভুক্ত।
জেলের সুনাম নষ্ট করার জন্য কেউ ষড়যন্ত্রমূলক এ ঘটনা রটিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ভারতে প্রথম শ্রেণীর বন্দিরা কারাগারে নানা ধরনের বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন। বিশেষ সেলে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য প্রতি মাসে তারা ২০ হাজার রুপি অ্যাডভান্স এবং ১০ হাজার রুপিভাড়া দিয়ে থাকেন। ব্যাঙ্গালুরুর এ কারাগারটিতে অনেক হাই-প্রোফাইল বন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা এবং কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদ্দুরাপ্পা।
সূত্র- হিন্দুস্থান টাইমস
Discussion about this post