বছরের পর বছর ধরে তন্ত্র-মন্ত্রের সাধনা করে আসছে সাধক এবং তান্ত্রিক নামক এক জনগোষ্ঠী। তন্ত্র-মন্ত্রের প্রয়োগ করে তারা অনেক অলৌকিক ক্ষমতাও বাগিয়ে নিচ্ছে অনেক দিন থেকেই। কিন্তু শিশুর চোখ বা হৃদপিণ্ড খেয়ে অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করা যাবে! এ যুক্তিটা আপনার আমার কাছে কুসংস্কার মনে হলেও তা বিশ্বাস করে এক নারকীয় কাণ্ড ঘটিয়েছে এক অটোচালক আসিফ শাহ ওরফে মুন্না।
ভারতের নাগপুরের বাসিন্দা আসিফ তন্ত্রমন্ত্র নিয়ে চর্চা করতেন। অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করতে তিনি সব করতেই রাজি! তাকে এক তান্ত্রিক জানায়, কোনো শিশুর চোখ, কিডনি ও হৃৎপিণ্ড খেলে অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে সে। আর সেই কুসংস্কারে ডুবে থাকা আসিফ আরো পাঁচ যুবককে সঙ্গে নিয়ে গত ৮ নভেম্বর ওয়ার্ধা থেকে একটি শিশুকে অপহরণ করে। নয় বছরের ওই শিশুর নাম রূপেশ হীরামন মুলে, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।অপহরণের পর তাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। তারপর সেই শিশুর চোখ, কিডনি ও হৃৎপিণ্ড তুলে নিয়ে সেইগুলো রান্না করে তা ভক্ষণ করে তারা। সেগুলো খাওয়ার পর স্থানীয় একটি হনুমান মন্দিরে পুজা দেয় আসিফ।
এদিকে পরিবার শিশুটিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে পুলিশের দারস্থ হয়। পরে পুলিশ নির্দিষ্ট সূত্র ধরে পাঁচ শাগরেদসহ আসিফ শাহ ওরফে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে। আসিফের পাঁচ শাগরেদ হলো- উত্তম পোহানে, অঙ্কুশ গিরি, সুরেশ ধানোড়ে, দিলীপ ভোগে ও দিলীপ খামখারকে। গ্রেপ্তারের পর নৃশংস এ ঘটনার বর্ণনা দেয় তারা। তাদেরকে এখন পুলিশ হেফাজতে রাখ।




Discussion about this post