সাইফুল, পটিয়া প্রতিনিধি, বিডি ল নিউজঃ পটিয়ায় নিজের পৈত্রিক জমি থেকে বালু কাটার কারণ জানতে চাওয়ায় বালু বিক্রেতাদের ছুরিকাঘাতে নিহত মো. আমানুল শাহ (৪২) হত্যাকান্ডের একমাস পার হলেও আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সংশ্লিষ্ট হত্যাকান্ডের জড়িত আসামীদের পটিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় আমানের নিজ গ্রাম বাহুলী এলাকার জনগণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। আমানের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে। দৈনিক জনতার প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় বাহুলীর হয়রত শাহচাঁদ আউলিয়া মাজার গেইট সংলগ্ন এলাকায় পৈত্রিক জমি থেকে বালু কাটার কারণ জানতে গেলে বালু ব্যবসায়ীদের নির্মমভাবে চুরিকাঘাত করে আমান উল্লাহকে। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় ডাক্তাররা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে রাত ৯ টায় চমেক হাসপাতালে আমান উল্লাহর মৃত্যু ঘটে। নিহত আমান পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সামশুল আলমের পুত্র। আমান পটিয়া পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারী ছিলেন। তার হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার বাদী হয়ে বুলবুল ইসলাম, আলী আজগর জুয়েল, আমিনুল ইসলাম, মোঃ হেলাল, নুরুল ইসলাম, মোঃ ইসমাইল চৌকিদার, নজরুল ইসলাম, মোঃ রিপন, নাজিম উদ্দিন, মোঃ সুজনসহ আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করে। এছাড়াও গত এক মাসে উপজেলা বাড়ৈকাড়া গ্রামে বাশি এবং দক্ষিণ গোবিন্দারখীলে মানিক ও আমজুর হাটে ঝিনু আকতার হত্যাকান্ডে জড়িতদের পটিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে পটিয়ার সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ীরা সকল হত্যাকান্ডের জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাব উদ্দিন খলিফা জানান, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছে এবং অভিযান অব্যাহত আছে। যেখানে আসামীদের পাওয়া যাবে সেখানেই অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Discussion about this post