বিডি ল নিউজঃ
সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। যে বিদেশি প্রভুরা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছিল, তারা এখন সরকারকে চাপ দিচ্ছে- গ্যাস ও ট্রানজিটের জন্য। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের ওল্ডহ্যামে সিটিজেন মুভম্যান্ট আয়োজিত সেমিনারে আইনজীবী ও টকশো’ ব্যক্তিত্ব ড. তুহিন মালিক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সরকারের গ্রহণ যোগ্যতা না থাকায় এসব বিদেশি প্রভুরা আওয়ামী লীগকে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও ক্ষমতায় নিয়ে আসার কথা ভাবছে।
ড. তুহিন মালিক বলেন, যেদিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে- সেদিন সারা বাংলাদেশ ফটিকছড়ি হবে। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কিছু বললে জেল খাটতে হয়, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের বিরুদ্ধে কথা বললে কিছু হয় না।
সমপ্রতি সাবেক মন্ত্রী আ. লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরা নিয়ে ড. তুহিন মালিক বলেন, বিদেশে বসে লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন- আমার নেত্রীর গ্রিন সিগন্যাল পেলে- দেশে যাব। তবে এবার নেত্রী নয়, নেতার (মোদীর) গ্রিন সিগন্যালে তিনি ফিরেছেন মন্তব্য করেন ড. তুহিন মালিক।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশকে সিকিম বা ভুটান বানাতে চায় না- তারা চায় বাংলাদেশকে ফিলিস্তিন বানিয়ে এদেশের মুসলমানদের রক্ত বিক্রি করতে।
ড. তুহিন মালিক বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত করতে খেলা হচ্ছে- এটা একটা ভয়ঙ্কর।
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র যারা ধরল তাদের ফাঁসির আদেশ দেয়া হলো। অথচ সিলেটের হবিগঞ্জে বারবার উলফাদের ভারি ভারি অস্ত্র ধরা পরল, যারা ধরল- তাদের কেন ফাঁসি হবে না বলে প্রশ্ন রাখেন এ আইজীবী।
মাহমুদুর রহমান স্কাইপে যাদের ধরল তাদের প্রমোশন হলো আর তাকে জেলে নেয়া হলো- আজব এ দেশ। অনুষ্ঠানে কলামিস্ট ফরহাদ মযহার বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দল না, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি।
সংবিধানে স্বাধীনতা ঘোষণার তিনটি মূলনীতি- সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যে নীতির ভিত্তিতে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল- সে নীতির বিরুদ্ধে আজকে আওয়ামী লীগের অবস্থান।
ইকবালের হোসেনের পরিচালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন- সিটিজেন মুভম্যান্টের আহ্বায়ক এম এ মালিক এবং মুফতি শাহ সদর উদ্দিন।
Discussion about this post